এম. কে. দোলন বিশ্বাস
বর্ষার মৌসুম। চারিদিকে পানি আর পানি। অনেক এলাকার বাড়িঘর গুলো বর্ষার পানিতে ভাসতে ভাসতে যেনো ‘রাজহাঁস’ বনে গেছে। জনমানুষের এমন ক্লান্তিকালে হঠাৎ চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ল ‘মন্ত্রী মহদোয় কর্তৃক বিকালে দানের ছাগল রাতেই মারা গেছে’। আর এ খবর ফেসবুকে শেয়ার করার অপরাধে এক সাংবাদিককে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ নিয়েছেন আদালত।
প্রশ্ন উঠল, মারা গেল একটি ছাগল। কিন্তু ছাগল মরার খবর একটি নয়। বরং একাধিক খবর। টক অব দ্যা কান্টিতের পরিণত হল ‘মরা ছাগলের খবর সামাজিক মাধ্যামে শেয়ার করায় সাংবাদিক জেলহাজতে’। দেশের গন্ডি পেরিয়ে বর্হিবিশ্বেও আলোডন সৃষ্টি করল মন্ত্রীর দানের ছগল মরার খবরটি। গণমাধ্যমে প্রকাশ হল- ‘ফেইসবুকে ছাগল ও মন্ত্রী নিয়ে স্ট্যাটাস : সাংবাদিক কারাগারে’, ‘মরা ছাগল খালে : সাংবাদিক ৫৭ ধারার জালে’, ‘৫৭ ধারার নতুন কোপ : ছাগলের মৃত্যুতে হাজতবাস’, ‘প্রতিমন্ত্রীর দেয়া মৃত ছাগলের চেয়ে একজন সংবাদকর্মীর জীবন মূল্যহীন’, ‘মানহানি হয়নি : আমার দেয়া ছাগল মারাও যায়নি : প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ’, ‘ছাগল নিয়ে সাংবাদিকের পোস্ট, ওসি প্রত্যাহার’, ‘ছাগল মরিছে সত্য : মন্ত্রীর কী দোষ’, ‘৫৭ ধারার মামলায় ছাগল নিয়ে তোলপাড়’ ইত্যেকার নানাবিধ শিরোনামের খবরে গণমাধ্যমে যেমন সয়লাব। তেমনই জনমানুষের মাঝেও জয়জয়কার। অন্যদিকে কথাসাহিত্যিকরাও ‘ছাগল মরা’ ঘটনায় বেখায়ালে নেই। বরং তাদের একজন দেশের নামকরা পত্রিকায় লিখলেন ‘ছাগল মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরে নাই’।
ভরা বন্যার মৌসুমে ছাগলের কথা ভুলবার নয়। কারণ সপ্তাহ দুই আগে আমার স্কুল শিক্ষিকা গিন্নির বর্গা দেয়া দুইটি ছাগল বিক্রির টাকা দিয়ে বসতবাড়ি থেকে আধা কেলোমিটার দীর্ঘ একটি নতুন রাস্তা নির্মাণ শুরু করেছিলাম। যদিও এগিয়ে যাওয়া কিংবা উন্নয়নের মহাসড়কের ডিজিটাল এ বাংলায় নিজের টাকায় দশের রাস্তা নির্মাণের আমার এ দাবিটি একচিটিয়া বিশ্বাস হবার নয়। কিন্তু ঘটনাটি শতভাগ বাস্তবতা। কোনো রকমে বসতবাড়ি থেকে বের হবার জন্যই গিন্নির বর্গা দেয়া ছাগল দুইটির বিক্রির টাকায় রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া।
দেশে ছাগল যে আছে, এ তথ্য নতুন করে লালন করবার যথার্থ প্রসঙ্গ ছিল না। চারদিকে বন্যার পানি থৈ থৈ করলেও এ দেশে ছাগল আছে, কাঁঠালপাতা নিশ্চয়ই আছে, কিন্তু বানবাসিদের ত্রাণের ব্যবস্থা ব্যতিরেকে চারদিকে এত পাগল যে ছাগলের কথা গভীর চিন্তায় মগ্ন, তা ভাববার একান্তই কোনো অবকাশই ছিল না।
গত ২৯ জুলাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ এমপি তার নিজ এলাকা খুলনার ডুমুরিয়ায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও সেচ প্রকল্পের (এফসিডিআই) আওতায় কয়েকজন দুস্থের মাঝে হাঁস, মুরগি ও ছাগল বিতরণ করেন। জুলফিকার আলী নামে দক্ষিণ ডুমুরিয়া গ্রামের এক ব্যক্তির পাওয়া ছাগল ওইদিন রাতেই মারা যায় বলে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশিত হয়। ওই দিন রাত ৯টার দিকে সাংবাদিক সুব্রত ফৌজদার স্থানীয় একটি দৈনিকের ডুমুরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক লতিফ মোড়লের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) আইনের ৫৭ ধারায় ডুমুরিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় ওই দিন রাত আড়াইটার দিকে ডুমুরিয়া উপজেলা সদরের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মামলা দায়েরের পর ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস গণমাধ্যমে জানান, মামলার বাদী সুব্রত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, প্রতিমন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগল মারা যাওয়া সংক্রান্ত খবর ফেসবুকে শেয়ার করেন লতিফ। এতে প্রতিমন্ত্রীর সম্মান ক্ষুন্ন হয়েছে। তাই লতিফের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন তিনি। গ্রেফতারের তিন দিন পর সাংবাদিক লতিফ মোড়ল খুলনা কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করেছেন।
ছাগল যে সব সময় ‘ছাগল’ এটাই বাস্তবতা। শুধু জলজ্যন্ত নয় বরং তার উৎকৃষ্ট প্রমাণ যে, ছাগল মরবার আর কোনো সময় পেলো না। ছাগলের যদি স্থান-পাত্র-কালজ্ঞান থাকতো। তবে কী আর ওই ছাগল বুঝতে ভুল করতো যে, তাকে দান হিসেবে দুস্থ ব্যক্তিকে দিয়েছেন উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাওয়ার ডিজিটাল দেশের স্বয়ং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
আজ বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ওহে ছাগল! তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীর ভাগ্য যে, এগিয়ে যাওয়ার এ ডিজিটাল বাংলার একজন প্রাণিমন্ত্রী স্বয়ং তোকে অগনিত প্রাণীর মধ্য থেকে বাছাই করে দান করেছেন। আর দান করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তুই মরে গেলি! তোর এমন কী বা বয়স হয়েছিল। অথবা কী বা ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলি? যার জন্য মরে গিয়ে তোর চৌদ্দ গোষ্ঠীর কুল-মান সবই খোয়াতে হলো তোকে।
ব্যাটা ছাগল, তোর বুঝি বাছবিচার নেই। মরবার সময় জানস না। কখন কার হাত হতে কার ঘরে গিয়ে মরতে হয়, ওই বোধ তোর আর হলো না। দিনে গরিবের ঘরে দান হিসেবে, রাতেই তোর ভাগ্যালীলা সাঙ্গ হবে। এ কথা যদি মন্ত্রী মহদোয় জানত তবে কী তোরে দান করবার মনস্ত করতো?
মরবার আগে তোর হুঁশ হলো না যে, তুই যেন তেন ছাগল নয়! তোর গলার দড়ি ধরেছেন স্বয়ং প্রাণিমন্ত্রী, তুই তেমনি এক ভাগ্য ওয়ালা ছাগল।
কথায় বলে বাঘে ছুঁইলে এক ঘা, মন্ত্রী ছুঁইলে দুই ঘা, কিন্তু মন্ত্রীর চ্যালা ছুঁইলে? বত্রিশ ঘা। মরা ছাগল ছুঁইলে যা হবার তাই। এখন বোঝোই। মরেও তুই শান্তি পাইলি না। গণমাধ্যমে খবর হলো, ছাগল মারা গিয়াছে। আর ওই খবর এক আবেকতাড়িত সাংবাদিক ফেসবুকে শেয়ার করে দিল। তৎক্ষনাত প্রমাণ হয়ে গেল, ‘ছাগল মরেনি। ছাগলরা মরে না।’
আরেক ভাগ্যবিডম্বনা সাংবাদিক ফেসবুকে শেয়ারের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা ঠুকে দিল। কত যদুমধু কত বড় বড় কারণে মামলা করতে চেয়ে মামলা করতে পারে না থানা পুলিশের কাছে। কারও বা ঘরে কেউ আগুন দিয়েছে, কারও বা জমি জবরদখল হয়েছে, কারও সন্তান নিখোঁজ, ওই সব মামলা নথিভুক্তই হতে কতই না কালক্ষেপন পুলিশ পাড়ায়। আদালতের বারান্দায় বারান্দায় ঘুরে ডজন ডজন জুতা ক্ষয় করল শেষ অবধি বিচার আর কতটুকুই বা প্রাপ্তী, তার হিসেব ক’জনই রাখেন?
কত মামলার আসামি এমপি-মন্ত্রী, পুলিশের অনুষ্ঠানে ফুলের মালা গলায় পরে, কেউ তাদের ধারের কাছে যেতে পারে না, কিন্তু এ মামলা তো মানুষ নিয়ে নয়, এ মামলা ছাগল নিয়ে, কাজেই তার গুরুত্ব অপরিসীম, মর্যাদা ভীষণ হবারই কথা। কারণ দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন তো ছাগল বসে নেই। বরং কিছু দিন আগে প্রথম শ্রেণির ‘আমার বাংলা বই- এর বর্ণ পরিচয় অংশে ছবিতে ‘ছাগল গাছে উঠে আম খাচ্ছে’। এমন ‘হাস্যকর’ তথ্য শিক্ষাবান্ধব শিক্ষাবিদরা উপস্থাপন করলে দেশজুড়ে বির্তকের ঝড় উঠে। পরে তা সংশোধন করে জ্ঞানপাপ মুক্ত হন সংশ্লিষ্টরা।
মন্ত্রীর দেয়া দানের ছাগল মরে যাওয়ার খবর ফেসবুকে শেয়ারকারী সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করতে তাই বিন্দুমাত্র কালক্ষেপণ হল না। পুলিশের পায়ের গতি সৌদির নামকরা হর্সকেও যেনো অতিক্রম করে সত্যিই রকেট বেগে নড়িল, হাত ঝড়ের বেগে ছুটায় গ্রেপ্তার হলেন সাংবাদিক। একেই বলে এগিয়ে যাওয়ার দেশে ৫৭ ধারা। ছাগল কে দিল, কে পেলো, কে মরল, কার মান গেল, কার হৃদয় ব্যথাভারে নুয়ে পড়ল, কে মামলা করল, কে গ্রেপ্তার হল। এসবেরই নাম আজ ৫৭ ধারা। এ ৫৭ধারাটি বিদ্যুতের মতো গতি সম্পন্ন, সাইক্লোনের মতো বেগ, আগুনের মতো লেলিহান, লোহার মতো শক্ত, কার্যকর একেবারে কোরামিনের মতোই। সবমিলে অব্যর্থ, অদ্বিতীয়, সফলতা হাজারভাগ, বিফলে মূল্য ফেরতের বালাই নেই।
৫৭ ধারা আবার কোনো কোনো আইনপ্রণেতার খুবই প্রিয়। ওই আইনপ্রণেতারা জানেন, জনগণকে যা খাওয়ানো হবে, তাই খাবে। সে কারণেই অনুরোধ। ওহে ভাই ছাগল, তুমি আর মরিয়ো না। তুমি মরলে কেউ না কেউ খবর প্রকাশ করবে, কারও না কারও ইজ্জতে আঘাত হানবে, কেউ না কেউ ৫৭ ধারার জালে ফন্দি আঁটবে।
কারণ এখন ৫৭ ধারার ধুমধাম যুগ চলছে। এখন হাসিতেও কারও মানহানি ঘটতে পারে, কাঁদলে নীতিভ্রষ্ট বোধ করতে পারে, আর তিনি যদি ক্ষমতাবানের সাঙ্গপাঙ্গ, চ্যালা-চামুন্ডা, নেতা, কিংবা পাতি নেতা হয়ে থাকেন, তা হলে আইন শুধু তার নিজের গতিতে কাজ করবে না, বরং বিদ্যুৎ গতিকেও হার মানিয়ে লাফাবে। আজ লজ্জাজনক হলেও সত্য যে, এক ছাগলের মৃত্যু অজস্্র ছাগলকে জাগিয়ে তুলেছে।
‘আমরা যেনো আসলে একটা ম্যাজিক রিয়েলিজমের যুগে বাস করছি। ছাগলের মৃত্যুর ওপর নির্ভর করছে মন্ত্রিসভার একজন সদস্যের সম্মান! ভবিষ্যতে এ মামলা শতাব্দীর ‘সেরা তামাশা’ এর যুগ হিসেবে আমাদের যুগকে চিহ্নিত করবে- এই আশঙ্কা করছি।’
আজ বলার অপেক্ষ রাখে না যে, ‘মানুষের সম্মান আর ছাগলের প্রাণ, আহা, কী কায়দায় একত্রে মিলে গেল।’ মনে হয়, ওই সাংবাদিককে গ্রেফতারের বিশেষ কারণ হিসেবে পুলিশ নিশ্চয় মনে করে থাকতে পারে যে, প্রতিমন্ত্রীর ছাগলও অমরণশীল! প্রতিমন্ত্রীর ছবি ছাড়া শুধু ছাগলের ছবি দেওয়ায় ছাগল গোত্রের প্রাণীদের অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। করা হয়েছে অপমান।
অথচ আমরা মানুষরা এখন এমন ভান করি যেনো আমরা ভুল করতেই পারি না! তাই কেউ ভুল ধরিয়ে দিতে এলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করি! আর এ নীতির সবচেয়ে বড় অস্ত্রের নাম ৫৭ ধারা! মানুষরা সাবধান! কারণ, যারা এ অস্ত্র ব্যবহার করছেন, তারা ভুল করেন না। তারা নিশ্চয় ফেরেস্তা কিংবা দেবতার চেয়েও বড় দেবতা!’
ছাগল প্রসঙ্গে অতিসামান্য হলেও জেনে রাখা অত্যাবশ্যক। কথায় বলে ‘ছাগলে কি না খায়, আর পাগলে কি না বলে।’ বাংলার কালো ছাগলের ক্ষেত্রে এ কথাটা একেবারে ঠিক। মাঠে ছেড়ে পুষলে ছাগল তার খাবারের ৭০% জোগাড় করে নেয়। সঙ্গে অল্প দানা খাবার দিলেই যথেষ্ট। অল্প জায়গা লাগে। স্বল্প মূলধন। রোগব্যাধি কম হওয়ায় ঝুঁকিও কম। সুস্বাদু, পুষ্টিকর মাংসের জন্য চাহিদা বেশি। ছাগলের চামড়া চর্মশিল্পের অন্যতম কাঁচামাল ও মল-মূত্র উন্নত মানের জৈব সার। সব মিলিয়ে বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতিতে খাবার, পরিচর্যা, রোগ প্রতিরোধ ও প্রজনন করালে ছাগল পালনে লাভ সুনিশ্চিত।
অন্যদিকে বাংলার কিছু হুজগি আছেন, যারা কোনো বিষয়ে মন্তব্য করতে বাছবিচারের তোয়াক্কা করেন না। ভাবেন না আগে-পিছে কি বা হওয়ার সম্ভবানা থাকতে পারে। এসব ডিঙ্গিয়ে যাদের পদচারণা তাদেরকে মূলত পাগলের সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে সম্ভত ‘পাগলে কি না বলে’ উক্তি ব্যবহার করা হয়।
ছাগল বাংলাদেশের অতি পরিচিত গৃহপালিত পশু। এটি স্তন্যপায়ী প্রাণী। অভিযোজন, প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির ক্ষমতা, সুস্বাদু মাংস এবং উৎকৃষ্ট চামড়ার জন্য বাংলার কালো ছাগলের গুরুত্ব রয়েছে। আঠারো ও উনিশ শতকে ছাগলের চামড়া ইউরোপ, আমেরিকায় রপ্তানি হতো। ছাগলের চামড়া দিয়ে জামা ও ব্যাগ বানানো হতো।
বাংলাদেশে অনিয়মিত খাদ্যযোগান সত্ত্বেও ছাগল ভালই টিকে আছে। পতিত জমি, শস্যক্ষেতের আল, পথপাশ ও বাঁধ এদের চারণক্ষেত্র ও আহার্যের যোগানদার। ঘাস, গুল্ম ও নানা ধরনের পাতা যেগুলির অন্যতর তেমন কোনো ব্যবহার নেই, তা ছাগলেরা সদ্ব্যবহার করে। সম্পূরক খাবার না দিয়ে বা সামান্য পরিমাণ খাবার দিয়ে ছাগল সহজেই পোষা যায়। বিশেষ করে আমাদের দেশে নারী ও শিশুরাই অধিকাংশ ছাগল পোষে। উৎপাদন খরচও খুব কম।
অতএব, ওহে বখাটে ছাগল, তুই মরে প্রমাণ করেছিস, তোরাও খবরের শিরোনাম হতে পারিস। শুধু শিরোনাম নয়, তোদের মৃত্যু কাউকে জেল খাটার অভিজ্ঞতাও এনে দিতে পারে।