নিজস্ব প্রতিবেদক:
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকায় গত ৪দিন যাবত যমুনা নদীর পানি সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ১৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ১২৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার পানিতে চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী লোকালয়ে শত শত ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডাটা এ্যান্টি অপারেটর আব্দুল লতিফ জানান, যমুনা নদীর পানি গত ২৪ ঘন্টায় ১৫ সেন্টিমিটার বাড়লেও গত রোববারের তুলনাই ৫ সেন্টিমিটার কম। ভারি বর্ষণ না হলে যমুনা নদীতে পানি কমতে থাকবে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ হাসান ইমাম জানান, যমুনার পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে আগামী দুই দিনের মধ্যে একশ’ বছরের রেকর্ড ভঙ্গের আশংকা রয়েছে। যমুনার প্রবল ¯্রােতের কারণে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধগুলো ক্রমশঃ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
তিনি আরো জানান, সদর উপজেলার রতনকান্দি ও খোকশাবাড়ির ইউনিয়নের ৩টি স্থানে বাঁধের নিচ দিয়ে পানি চুয়ে বের হচ্ছে। এসব স্থানে বালিভর্তি বস্তা নিক্ষেপ করা হচ্ছে। জেলার সব নদীর তীর সংরক্ষণ বাঁধগুলোর উপর দিনরাত চব্বিশ ঘন্টা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে, অস্বাভাবিক হারে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার সদর, চৌহালী, কাজিপুর, শাহজাদপুর, বেলকুচি উপজেলার ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বাইরের নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়িতে পানি উঠতে থাকায় ওই এলাকার মানুষজন গবাদি পশু ও বাড়ির নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে সংকটে পড়েছেন।
সিরাজগঞ্জ জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, জেলায় দ্বিতীয়বারের মতো যমুনার পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনও তেমন কোন নেতীবাচক প্রভাব পড়েনি। তার দাবি, প্রথম বার যাদের ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিলো তারা এখনও বাঁধের ওপর নিজস্ব উপায়ে ঝুঁপড়ি তুলে নিরাপদ স্থানে অবস্থান করছেন। জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থেকে ১৭৬টি আশ্রয় কেন্দ্র আগে থেকেই নির্ধারিত বা চিহ্নিত করা আছে। বেশি অবনতি হলে সেসব কেন্দ্রে বন্যার্তদের সরিয়ে নেয়া হবে। এখনও কোথাও পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন এমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে, দুর্যোগ ও ত্রাণ ব্যবস্থাপনা ভান্ডার থেকে ৫টি উপজেলায় ১৭৫মেট্রিক টন খয়রাতি চাল এবং ৮ লাখ ২০হাজার টাকা আগাম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ