নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন আজ। এটি তার ৭২ তম জন্মদিন। ১৯৪৫ সালের এ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তবে, গত বছরের ন্যায় এ বছরও আনুষ্ঠানিকভাবে তার জন্মদিন পালন করা হচ্ছে না।
বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, দেশের বন্যা পরিস্থির কারণে বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে নেতাকর্মীরা তার জন্মদিনের আনুষ্ঠানিকতা পালন থেকে বিরত রয়েছে। ফলে বরাবরের মত এবার আর রাত ১২ টায় জন্মদিনের কেক কাটা হয়নি।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেগম খালেদা জিয়া এক জীবন্ত কিংবদন্তির নাম। সাধারণ গৃহিনী থেকে উঠে এসেছেন রাজনৈতিক জগতের পাদপ্রদীপের আলোয়। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদত বরণের পর এক সঙ্কটময় সময়ে তিনি বিএনপির নেতৃত্ব গ্রহণ করেছিলেন। তারপর টানা নয় বছর স্বৈরশাসক এরশাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে বিরামহীন সংগ্রামের মাধ্যমে পরিণত হন জনগণের নেত্রীতে। গণতন্ত্র হরণকারী স্রৈশাসনের বিরুদ্ধে তার নিরাপোস নেতৃত্ব তাকে এনে দেয় আপোসহীন নেত্রীর খ্যাতি। গণতান্ত্রি আন্দোলনের এ অবিসংবাদিত নেত্রীকে জাতি ভূষিত করে দেশনেত্রী অভিধায়।
বেগম খালেদা জিয়া তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। তার সরকারের আমলে বাংলাদেশ লাভ করেছে বিস্ময়কর অগ্রগতি। আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মহাসড়কে বাংলদেশ এগিয়ে গেছে সাবলীলভাবে।
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে বেগম খালেদা জিয়া বিভিন্ন সময়ে স্বৈরশাসকদের রোষানলের শিকার হয়েছেন। এরশাদের আমলে তাকে কয়েকবার গৃহবন্দী করা হয়েছে । আর ২০০৭ সালের জরুরি অবস্থার সরকার তাকে ১১ মাস কারাবন্দী করে রেখেছিল। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার তার বাড়ির সামনে ইট-বালুর ট্রাক দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। দীর্ঘ প্রায় তিন মাস তিনি গুলশানে তার অফিসে অবরুদ্ধ ছিলেন।
বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটি অনন্য বৈশিষ্টম-িত নাম। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তিনি এখনো নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন অত্যন্ত সাহসিকতার সাথে। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশে আবারো সত্যিকার গণতন্ত্র ফিরে আসবে বলে এদেশের গণতন্ত্রপ্রিয় মানুষ আশা করে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ