২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:৩৪

মুক্তামনি স্বাভাবিক খাবার খেয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামনিকে অস্ত্রোপচার শেষে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে। শনিবার সকালে অস্ত্রোপচারের পর প্রায় ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন সবদিক বিবেচনা করে জানিয়েছেন মুক্তামনি সুস্থ রয়েছে। তিনিরোববার সকালে মুক্তামনিকে দেখে আইসিইউ থেকে বেরিয়ে একথা জানান। সামন্ত লাল বলেন, ‘মুক্তামনি সুস্থ আছে। সে স্বাভাবিক খাবার খেতে পারছে। এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা দেখা যায়নি। তারপরও সার্বক্ষণিক তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।’

অস্ত্রোপচারের পর রক্তক্ষরণের যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, সে রকম কিছু ঘটেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সামন্ত লাল বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কিছু ঘটেনি। তাকে এখনও পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলা যাবে না। তবে এখন পর্যন্ত যা ঘটেছে, তাতে আমরা বলতে পারি মুক্তামনি মোটামুটি শঙ্কামুক্ত।’ মুক্তামনির বাবা ইব্রাহীম হোসেন জানান, মুক্তামনির অবস্থা ভাল। খাওয়া-দাওয়া করছে, সবার সঙ্গে কথাও বলছে। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর মুক্তামনির হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। মুক্তামনির আক্রান্ত ডান হাত ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারি হয়ে ওঠে। এতে পচন ধরে, পোকাও জমে।  মুক্তামনিকে দিন রাত চুলকানি ও যন্ত্রণায় অস্থির থাকতে হতো। আক্রান্ত স্থান থেকে বিকট দুর্গন্ধও ছড়াতো। এসব কারণে তাদের বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন ও পড়শীদের যাতায়াত এক রকম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।

সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয়। গত ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এরপর প্রথমে তার বায়োপসি করা হয়। এতে রক্তনালির টিউমার ধরা পড়ে। সবশেষ গতকাল শনিবার অস্ত্রোপচার করে মুক্তামনির হাত থেকে তিন কেজি ওজনের মাংসপিণ্ড অপসারণ করা হয়েছে।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি 

প্রকাশ :আগস্ট ১৩, ২০১৭ ১:০৯ অপরাহ্ণ