নিজস্ব প্রতিবেদক:
‘আমি পাগল হতে যাব কেন? সালমান শাহের মৃত্যুর ঘটনায় পাগলের অভিনয় করেছি। এটা যদি না করতাম, তাহলে আমি এখানে আসতে পারতাম না।’ রোববার সকালে নিউ ইয়র্কের টাইম টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন রুবি। রাবেয়া সুলতানা রুবির সাক্ষাৎকার নিয়েছেন টাইম টেলিভিশনের সিইও আবু তাহের ও সিনিয়র রিপোর্টার সুলতানা রহমান।
রুবি অকপটে বলেন, ‘আমি মানসিক রোগী নই, স্বামীর অনুরোধে পরের ভিডিওটি ছেড়েছি। আমার ছেলে রুমি ও ইমনের (সালমান শাহ) স্ত্রী সামিরার কাছে যা শুনেছি, তাই বলেছি। ইমনের (সালমান শাহ) হত্যা মামলার তদন্তে এগুলো কাজে আসতেও পারে।’
সাক্ষাৎকারে তিনি কথায় কথায় সালমান শাহ হত্যাকাণ্ডে সামিরার দিকেই আঙুল তুলেছেন। বলেছেন, ‘এসব বিষয়ে সামিরা ভাল বলতে পারবে, তাকে কেউ জিজ্ঞেস করে না কেন? দুইটা ফুপুর বাসা থাকতে সামিরা কেন প্রতিবেশীর বাসায় থাকতো?’
তদন্ত কর্মকর্তারা তার সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি বলতে রাজি আছেন বলেও জানান। তবে সেটা হতে হবে শর্তসাপেক্ষ।
এ বিষয়ে রুবি বলেন, ‘এটা হত্যা না, আত্মহত্যা আগে পরিষ্কার হওয়া দরকার। আমার নিরাপত্তা দিলে আমি তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলব। আমি তো আট নাম্বার আসামি, আমি কেমন করে দেশে যাব? এখানে কেউ কথা বলতে এলে কথা বলব।’
সালমান শাহের সঙ্গে তার স্ত্রী সামিরার সম্পর্ক কেমন ছিল জানতে চাইলে রুবি বলেন, ‘সামিরা আমাকে যা বলেছেন সেটা বলতে পারব। সামিরা আমাকে বলেছে ইমন তাকে মেরেছে। তাকে দু’বার মেরেছে। যতদূর জানি ইমন সামিরাকে মেরেছিল চরিত্র হীনতার দোষে। সামিরা আমাকে আরও বলেছে শাবনূরের সঙ্গে ইমনের (সালমান শাহ) সম্পর্ক ছিল।’
সালমান শাহ হত্যা প্রসঙ্গে আপনি কী জানেন জানতে চাওয়া হলে রুবি বলেন, ‘খুন না আত্মহত্যা এটা আমি বলতে পারব না। এটা প্রমাণ করা আমার দায়িত্ব না। আমি শুধু বলতে পারি আমি যেটা জানি, আমাকে সুইটি ভাবি বলেছিল- সালমান আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। আমি ছুটে যায় তার ইস্কাটনের বাড়িতে। লিফটে উঠলাম। লিফট বন্ধ হয়ে গেছে। আমি গিয়ে দেখলাম ইমনকে ধরাধরি করে বের করা হচ্ছে।
ওর পুরা মুখ নীল হয়ে গেছে। ঠোঁট কালো ছিল। সামিরা কাঁদছিল। এ সময় ইমনের মা আসলো। সামিরাকে বললো সামিরা কাইন্দ না, কাইন্দ না তুমি আমার ছেলেকে মেরেছো। সামিরা বললো আমি কেন আপনার ছেলেকে মারব?’
আপনি একেক সময় একেক কথা বলছেন। সবাই আপনাকে মানসিকভাবে অসুস্থ ভাবছে? এমন প্রশ্নে রুবি বলন, ‘২০১১ সাল পর্যন্ত আমি নিয়মিত চিকিৎসা নিয়েছি। আমি মদ খাওয়া ধরেছিলাম। এখন ছেড়ে দিয়েছি।’
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর সালমান শাহর মৃত্যুর পর তারা বাবা কমরউদ্দিন আহম্মদ চৌধুরী একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। ১৯৯৭ সালের ২৪ জুলাই তিনি আদালতে মামলাটি করেছিলেন। একই বছর ৩ নভেম্বর সিআইডি পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাখিল করে জানায় সালমান শাহর অপমৃত্যু হয়েছিল।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ