স্পোর্টস ডেস্ক:
তাকে ট্র্যাকে আর কখনও দেখা যাবে না । বিদ্যুৎ গতিতে দৌড়াবেন না। তাইতো বিদায়টা স্মরণীয় করাতে ৫৬ হাজার দর্শক শনিবার রাতে লন্ডন স্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলেন। কিন্তু কিংবদন্তিরাও যে মানুষ, তাই হয়তো সৃষ্টিকর্তা উসাইন বোল্টকে দিয়ে আরেকবার স্মরণ করালেন। জীবনের শেষ ট্র্যাকে এই জ্যামাইকান কিংবদন্তি দৌড়ই সমাপ্ত করতে পারলেন না। তার জন্য এর চেয়ে ট্র্যাজিক বিদায় আর হতে পারে না! বোল্ট বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে শনিবার রাতে ১০০ মিটার রিলেতে হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট পেয়ে ফিনিশিং লাইনের প্রায় ৫০ মিটার দূরে থাকতেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। ফলে তাকে জীবনের শেষ ইভেন্টে বিদায় নিতে হলো খালি হাতে। সাধারণত উসাইন বোল্ট এমন ১০০ মিটার রিলের হিটে অংশ নেন না। শেষ অলিম্পিকেও দৌড়াননি। কিন্তু এই কিংবদন্তি স্প্রিন্টার জীবনের শেষ দৌড়ের আগে এবার হিটে অংশ নিয়ে দলকে ফাইনালেও নিয়েছিলেন।
বোল্ট লন্ডন স্টেডিয়ামে ওমার ম্যাকলাউড, জুলিয়ান ফোর্টে, ইয়োহান ব্লেকের পর চতুর্থ ও শেষ ল্যাপে দৌড়াতে আসেন। ইয়োহান ব্লেকের কাছ থেকে ব্যাটন নিয়ে সামনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে পেছনে ফেলতে দৌড়ের গতি বাড়াতেই বিপত্তি, পা ধরে বোল্ট লুটিয়ে পড়লেন ট্র্যাকেই। আর এ সুযোগে ৩৭ দশমিক ৪৭ সেকেন্ড সময় নিয়ে সবার আগে দৌড় শেষ করে গ্রেট ব্রিটেন ও নর্দান আয়ারল্যান্ডের সোনা জয় নিশ্চিত হয়। যুক্তরাষ্ট্র ৩৭ দশমিক ৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে রূপা জিতেছে । আর জাপান ৩৮ দশমিক ০৪ সেকেন্ডে ব্রোঞ্জ জিতেছে।
ক্যারিয়ারের শেষ আসরে বোল্ট ব্যক্তিগত ইভেন্টে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে হেরে যান যুক্তরাষ্ট্রের জাস্টিন গ্যাটলিনের কাছে। ১০০ মিটার রিলেতে ঘটনা বিপত্তি। তাই বোল্টকে শুধু ব্রোঞ্জ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো । এর আগে ৩০ বছর বয়সী বোল্ট ২০১১ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ১০০ মিটারে ডিসকোয়ালিফাইড হয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি ২০০৯ থেকে চলতি আসরের আগ পর্যন্ত ১০০ মিটার, ২০০ মিটার এবং ১০০ মিটার রিলে দৌড়ে সোনার পদক জিতেছিলেন। তাকে বিদায়টা ট্র্যাজিক হলেও দর্শকরা ভোলেননি। গ্যালারিতে দাঁড়িয়ে সবাই বোল্ট বোল্ট ধ্বনিতে মুখরিত করে তোলে গোটা স্টেডিয়াম।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি