চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি:
কয়েক দিন আগেই তরতাজা যুবকের প্রাণ বেহাল সড়কে ঝরে গেল। দুঘর্টনা তো নিত্যসঙ্গী। এরপরও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের ঘুম ভাঙছে না। চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) স্বপন কুমার মালাকার জেলার বেহাল সড়ক নিয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। তিনি জানান, প্রায় এক বছর ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বর থেকে আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তা সাধারণ মানুষের চলাচলের অনুপযোগী হয়ে ওঠে। রাস্তার পিচ ও ঢালাই উঠে বড় বড় গর্ত হয়ে তা সাধারণ মানুষের মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দু’এক গজ পর পর বড় বড় গর্ত। সড়ক বলতে যা বোঝায় ৩ কিলোমিটারের মধ্যে তার কোনোটিই নেই। বর্ষার পানিতে গর্ত ভরাট থাকায় অনেকেই অজান্তে তাতে পড়ছে। অবশ্য সড়ক বিভাগ পরিস্থিতি সামাল দিতে আস্ত ইট মাটিতে বিছিয়ে দিয়েছে । বেশ কয়েকজন চালক জানালেন এই সড়ক ব্যবহার করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলার বাস-ট্রাকসহ সব ধরনের যানবাহনকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলায় যেতে হচ্ছে।
আরিফ হাসান নামে এক ইজিবাইক চালক জানান, সড়কের এই পরিস্থিতির কারণে ইজিবাইক তো আছেই, অনেক সময় ট্রাক-বাসও উল্টে পড়ে যান চলাচল ব্যাহত করছে। রেবেকা সুলতানা নামে এক অভিভাবক অনেকটা ক্ষোভের সুরে বলেন, চুয়াডাঙ্গার রাস্তাগুলো দেখে এই জেলাতে কোনো জনপ্রতিনিধি আছে মনে হয় না । তিনি বলেন, ‘রাস্তার বেহাল দশার কারণে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠিয়েও চরম দুঃচিন্তার মধ্যে থাকতে হয়। অনেক সময় পানি-কাদা মেখে ছেলেমেয়েরা বাড়ি ফেরে।’ চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউল হায়দার বলেন, প্রকল্প গ্রহণের পর ২০১৪ সাল পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা অংশের ৩০ কিলোমিটারের মধ্যে মাত্র ৯ কিলোমিটারের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণরে কাজ হয়েছে। বাকি অংশের জন্য সাত বছরে কোনো বরাদ্দ আসেনি, কাজও হয়নি। তিনি জানান বর্ষা মৌসুম শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু হবে।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি