আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র ও উত্তর কোরিয়া পরিস্থিতি অত্যন্ত তপ্ত হয়ে আছে। দু’দেশের মধ্যে এখন যে কথার লড়াই চলছে, তাতে বিশ্বনেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা আশঙ্কা করছেন এই কথার লড়াই পরিস্থিতিকে আরও অশান্ত করে তুলবে। কিন্তু তাতে কোনও তরফেরই থামবার লক্ষণ নেই। এ অবস্থায় দেশবাসীকে যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী। এতে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম চরম আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রবাসীর মনে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প- উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশ্যে বাক্যবাণ অব্যাহত রেখেছেন। সেই সাথে পিয়ংইয়ংকে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের উপর সামরিক হামলা চালানোর ব্যাপারে আবারো সতর্ক করে দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে হামলা হলে তারাও ধ্বংসলীলা শুরু করবেন। এর আগে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী “গুলি ভরা বন্দুকের মতই সতর্ক আছে” এমন বক্তব্য দিয়ে বেশ একটা শোরগোল ফেলে দেন। যে বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উত্তর কোরিয়া অভিযোগ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প পরিস্থিতিকে একটি পারমানবিক যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছেন।
এবার তিনি নিউই জার্সিতে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, তিনি তার আগের ওই বক্তব্যে অটল রয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা খুব সতর্কতার সাথে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছি। আমি আশা করছি তারা (উত্তর কোরিয়া) আমার কথার মাধ্যমে পরিস্থিতির গুরুত্ব সম্পূর্ণ রূপে অনুধাবন করতে পেরেছে। আমাকে বিশ্বাস করুন, এই লোক যা করছে, তাতে সে পার পাবে না।” বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর নেতারা দুই দেশের এই কথার লড়াইয়ে এরই মধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
রাশিয়া মনে করছে, এর ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাওয়ার মারাত্মক ঝুঁকি তৈয়ার হয়েছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেন, “পরিস্থিতি যখন এমন দাঁড়ায় যে যেকোনো সময় বিস্ফোরণ ঘটবে, তখন, আমি মনে করি তখন পরিস্থিতি শান্ত করবার প্রথম উদ্যোগটা নিতে হয় তাকে যিনি শক্তিশালী এবং চটপটে।” ল্যাভরভ স্পষ্টতই এখানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করছেন শান্তি স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপ নেবার জন্য।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বলছেন, তিনি মনে করেন যে তীব্র কথার লড়াই চলছে সেটি তার দৃষ্টিতে ভুল জবাব। চীনও আহ্বান জানিয়েছে উভয় পক্ষকেই শব্দ এবং বাক্য চয়নের ব্যাপারে সতর্ক হবার।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি