নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর উত্তরায় আশিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের আশিয়ান সিটি প্রকল্প (দক্ষিণখান, আশকোনা ও শিয়ালকাটা) অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করে পুনরায় হাইকোর্টের দেয়া রিভিউর রায় স্থগিত করেছে আপিল বিভাগ। এছাড়া আশিয়ান সিটির ওই প্রকল্পের প্লট বিক্রি ও বিক্রির উদ্দেশ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা জারির আদেশও বহাল রেখেছে আদালত। একই সঙ্গে আশিয়ান সিটি বিষয়ে হাইকোর্টের রিভিউর রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল গ্রহণ করেছেন আদালত।
এ আদেশের ফলে আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের আগের রায় বহাল থাকবে, এ প্রকল্প থেকে প্লট বিক্রি ও বিক্রির উদ্দেশ্যে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেয়া যাবে না, একইসঙ্গে শুনানিও চলবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ সোমবার এই আদেশ দেন। আদালতে আশিয়ান সিটির পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। রিটকারী সংগঠনগুলোর পক্ষে ছিলেন ড. কামাল হোসেন ও আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
গত বছরের ১৬ আগস্ট আশিয়ান সিটির রিভিউ আবেদন গ্রহণ করে বিচারপতি সৈয়দ এ বি মাহমুদুল হক, বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী রেজা-উল হকের হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চ আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্প অবৈধ ঘোষণার রায় বাতিল করেন। এরফলে আশিয়ান সিটি প্রকল্প বৈধতা পায়। হাইকোর্টের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রিটকারী সংগঠনগুলো।
এরআগে ২০১৪ সালের ১৬ জানুয়ারি হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ আশিয়ান সিটির আবাসিক প্রকল্প অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে এই রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদন করেন আশিয়ান সিটি কর্তৃপক্ষ।
২০১২ সালের ২২ ডিসেম্বর রাজধানীর উত্তরার দক্ষিণখান মৌজায় অবস্থিত আশিয়ান সিটি আবাসিক প্রকল্পকে দেয়া রাজউকের অনুমোদন এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের দেয়া আশিয়ান সিটির অবস্থানগত ছাড়পত্রের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে একাধিক মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী আটটি সংগঠন মিলে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করে। রিট আবেদনকারী সংগঠনগুলো হলো- আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক), অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা), ব্লাস্ট, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্ট বাংলাদেশ, নিজেরা করি, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন।
রিটে বলা হয়, আশিয়ান সিটি ৪৩ দশমিক ১১ একর জমির জন্য অনুমোদন নিয়েছে। কিন্তু ২৩০ দশমিক ৪৬ একর জমিতে কাজ করছে। যে জমি ভরাট করছে, তা প্লাবনভূমি।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর