পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
ভৌগোলিক কারণে পঞ্চগড় হিমালয়ের পাদদেশের জেলা। বালি ও পাথরের আধিক্য স্বভাবতই বেশিএ জেলার মাটিতে । সে কারণে পানি ধারণ ক্ষমতা কম। দেশের বেশকিছু অঞ্চল যখন বন্যার পানিতে ভাসছে তখন দেশের সর্ব উত্তরের জেলায় আবহাওয়া পূর্বাভাসের উল্টোটাই ঘটছে। এই জেলায় ভরা বর্ষাতেও বৃষ্টির দেখা নেই। গত ১৫ দিন ধরে বৃষ্টিপাত শূন্য খরার প্রভাব পড়েছে রোপা আমন চাষাবাদে। দিনপঞ্জি অনুযায়ী আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল। কিন্তু আষাঢ় মাস পেরিয়ে শ্রাবণ পেরোতে থাকলেও পঞ্চগড়ে তেমন বৃষ্টিপাত হচ্ছে না। প্রকৃতির এমন বিরূপ আচরণের ফলে কৃষকরা ধানের চারা রোপন করতে পারছেন না রোপা আমন চাষাবাদের ভরা মৌসুমেও।
তেঁতুলিয়া উপজেলার গিরানগছ গ্রামের কৃষক খাদেমুল ইসলাম জানান, আগাম আবাদের জন্য বীজতলায় চারা প্রস্তুত থাকলেও সেই চারা বীজতলাতেই নষ্ট হতে বসেছে। কারণ ক্ষেতে রোপা লাগানোর মতো কোনো পানি নেই। আবার কেউ কেউ শ্যালোমেশিনের মাধ্যমে সেচ দিয়ে আমনের চারা রোপন করছেন। ফলে খরচের পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। সদর উপজেলার হাড়িভাষা এলাকার কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, বর্তমানে স্যালো মেশিন দিয়ে রোপন করা চারা বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন। এতে খরচ দ্বিগুণ হবে। কৃষকের মেরুদণ্ড ভেঙে যাবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জনাব সামছুল হক জানান, এবার জেলায় রোপা আমন চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে প্রায় ৯৬ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আমন লাগানো শেষ হলেও ভরা বর্ষাকালে জেলায় পরিমিত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন আমন চাষীরা। তাই তিনি পরামর্শ দিয়েছেন বৃষ্টি সময় মতো না হলে জেলার কৃষকদের শ্যালো মেশিনের দ্বারা আমন রোপা লাগানোর।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি