নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ায় ধর্ষণের পর কিশোরী ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়া করে নির্যাতনের মামলায় শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার ও তার শ্যালিকা পৌর কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকির ফের ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। দুই দিনের রিমান্ড শেষে রোববার বিকেলে তাদের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হচ্ছে। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ জানান, তুফান এবং রুমকিকে আদালতে হাজির করে ৫ রিমান্ড আবেদন করা হবে।
তিনি জানান, এর আগে আদালত তুফান সরকারের তিন দফায় ৭ দিন এবং রুমকিকে দু’দফায় ৬ দিনের রিমান্ড দেন। উল্লেখ্য, গত ১৭ জুলাই বিকেলে ভালো কলেজে ভর্তি করে দেওয়ার কথা বলে এক ছাত্রীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তিনি ও তার সহযোগীরা এবং স্ত্রীর বোন নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন।
ঘটনার ১০ দিন পর গত ২৮ জুলাই নির্যাতিতা কিশোরী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে তারা নির্যাতন চালায়। এরপর নাপিত ডেকে এনে দু’জনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেন। এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে ওইদিন রাতেই শ্রমিক লীগ নেতা তুফান সরকার, তার স্ত্রী আশা সরকার, আশা সরকারের বোন বগুড়া পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর মার্জিয়া আক্তার রুমকিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন।
এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। কয়েক দফায় তাদের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এছাড়া তুফান সরকারকে শ্রমিক লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যে বড় ভাইয়ের হাত ধরে এতো প্রভাব তুফান সরকারের; তার বড় ভাই আব্দুল মতিন সরকারকেও শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ