২৩শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | বিকাল ৪:০৭

‘সরকারের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য পূরণ হবে না’

নিজস্ব প্রতিবেদক:

চলতি অর্থবছরে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৭ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না। সেক্ষেত্রে জিডিপি (মোট দেশজ উৎপাদন) প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। আগামী অর্থবছরে তা কমে গিয়ে হবে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশন-এসকাপ ইকোনমিক অ্যান্ড সোশাল সার্ভে অব এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক-২০১৭’ প্রতিবেদনে প্রবৃদ্ধির এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইডিবি ভবনে সোমবার এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ইউএনআইসি, ইউএনআরসি অফিস এবং ইউএনএসকাপ। এতে প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন ইউএনএসকাপের ব্যাংকক কার্যালয়ের অর্থনীতি বিষয়ক কর্মকর্তা সুদীপরঞ্জন বসু। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত ইএনডিপির আবাসিক প্রতিনিধি রবার্ট ওয়াটকিন্স এবং বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ।

বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমার কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের বাণিজ্য সংরক্ষণ নীতি ও রেমিটেন্স প্রবাহে ভাটার কারণে আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি কমবে। তবে চলতি অর্থবছরে সামগ্রিকভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি গত অর্থবছরের ৪ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি অর্থবছর ৫ শতাংশ হাতে পারে। আর আগামী অর্থবছরে তা আরও খানিকটা বেড়ে ৫ দশমিক ১ শতাংশ হবে। বাংলাদেশে প্রতিবেদন উপস্থাপনের সময় সুদীপ রঞ্জন বসু বলেন, যে দেশে সুশাসনের মাত্রা যত বেশি, সে দেশের আর্থিক ব্যবস্থাপনা ততো ভালো। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রশংসা করে তিনি বলেন, ২০১১ থেকে ধারাবাহিকভাবে প্রবৃদ্ধির হার ৬ শতাংশের উপরে থাকা স্থিতিশীল ও শক্তিশালী অর্থনীতির পরিচায়ক । এসময় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে কয়েকটি পরামর্শ রাখা হয়েছে এসকাপের প্রতিবেদনে। মানসম্মত চাকরির সুযোগ সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেওয়া, শিল্পায়ন ত্বরান্বিত করতে শিল্পবান্ধব নীতি গ্রহণ, মানবসম্পদের উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাধা চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য ব্যাপকমাত্রায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

রবার্ট ওয়াটকিন্স বলেন, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অর্থনীতি ভাল অবস্থানে রয়েছে। এসডিজি অর্জনের তথ্যের প্রচুর ঘাটতি রয়েছে। এই ঘাটতি পূরণে কাজ করতে হবে। তাছাড়া উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক অন্তর্ভুক্তি ও পরিবেশ রক্ষার বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে।

বিআইডিএস এর মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ বলেন, নতুন ভ্যাট আইন কার্যকর করা হলে মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধিতে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। কেননা, ভ্যাট তো নতুন নয়, আমরা ভ্যাট দিচ্ছি। এখন সেটি সংস্কার হচ্ছে।

M/H

প্রকাশ :মে ১০, ২০১৭ ১১:৩০ পূর্বাহ্ণ