নিজস্ব প্রতিবেদক:
কোচিং ফি’র নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাড়তি টাকা আদায় বন্ধে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সোমবার রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই নোটিশটি পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও স্কুলটির গভর্নিং বডির উপ-অর্থ কমিটির প্রধান ড. ইউনুছ আলী আকন্দ।
নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি ইউনুছ আলী নিজেই সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ১৯৭৯ সালের বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষক চাকরি রেগুলেশন ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে কোন আইন ও ক্ষমতাবলে এই অর্থ আদায় করা হচ্ছে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অধ্যক্ষকে এর জবাব দিতে নোটিশে বলা হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, প্রতিবছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথাকথিত কোচিং ফি’র নামে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত টাকা আদায় করে নিজেরা ভাগ বাটোয়ারা করে নিচ্ছেন। এছাড়া কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীদের কাছ থেকে অনুত্তীর্ণ প্রতি বিষয়ের জন্য তিনশ টাকা হারে একই প্রশ্নে দ্বিতীয়বার পরীক্ষা নিয়ে পাস করানো হচ্ছে।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, গত সপ্তাহ থেকে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছ থেকে চার হাজার টাকা আদায় শুরু করা হয়েছে যার শেষ তারিখ নির্ধারিত রয়েছে ৭ আগস্ট। দশম শ্রেণির এক ছাত্রীর অভিভাবকের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি মোবাইলে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ জানান, টাকা আদায় করছে শাখা প্রধান, আমি জানি না। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে জানতে পারলাম, এই অবৈধ টাকার চার শতাংশ ভাগ পান অধ্যক্ষ।
তিনি বলেন, বিশেষ করে জেএসসি এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার আগে কোটিং বাবদ জন প্রতি ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করা হয়। এইচএসসি শ্রেণিতে কোনো পরীক্ষায় উত্তীর্ণ না হলে একই প্রশ্নে আবার পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ৩০০ টাকার বিনিময়ে। একই কায়দায় প্রাথমিক সমাপনি (পিএসসি) ও জুনিয়র সার্টিফিকেট (জেএসসি), দশম শ্রেণি, এসএসসি এবং এইচএসসি (প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ) এসব সময়ে গর্ভনিং বডির সিদ্ধান্ত ছাড়া বছর প্রতি ছাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করে এ টাকাগুলো শিক্ষকরা নিজেরা ভাগবাটোয়ারা করে নেন। ব্যাংক একাউন্টে এর কোনো হিসাব থাকে না।
এহেন অবৈধ টাকা আদায় তা ব্যাংকে জমা না করে আত্মসাৎ চাকরির বিধি লঙ্ঘন করা (মিসকন্ডাক্ট) হয়েছে এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
১৯৭৯ সালের বেসরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ শিক্ষক চাকরি রেগুলেশন ও গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত বা অনুমতি ছাড়া কোন শিক্ষক কোচিং বা অন্য কোন নামে টাকা আদায় করা যাবে না। নোটিশের অনুলিপি শিক্ষা সচিবকেও দেয়া হয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ