নিজস্ব প্রতিবেদক:
বগুড়ার বহুল আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ ও মাথা ন্যাড়া করার ঘটনার মূলহোতা কাউন্সিলর রুমকি, তুফান সরকারের স্ত্রী, শ্বশুরসহ গ্রেফতারকৃত ৭ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
আজ বিকেলে তাদের আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে বিচারক কাউন্সিলর রুমকির ৪ দিনের এবং বাকিদের ২দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
জানাগেছে, গতকাল রাতে ঢাকার সভার ও পাবনা থেকে গ্রেফতারকৃত ধর্ষক তুফান সরকারের স্ত্রী আশা, তার মা রুমি, আশার বড় বোন ও পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া হাসান রুমকি, শ্বশুর, জামিলুর রহমান, নাপিত (যে মাথা ন্যাড়া করেছিল) জীবন রুবি দাস, গাড়ি চালক জিতু ও তুফানের সহযোগী মুন্নাকে সোমবার বিকেলে বগুড়ার অতিরিক্ত চীফ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
বিচারক শ্যাম সুন্দর রায় শুনানি শেষে কাউন্সিলর রুমকির ৪ দিন এবং বাকিদের ২দিনের করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এদিকে, বগুড়ার পুলিশ সুপার আসাদুজ্জামান দুপুরে তার কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে জানান, ধর্ষিতা ও তার মায়ের মাথা ন্যাড়াকারী নাপিত জীবন রবি দাসকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া ঘটনার মূলহোতা শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও তার সহযোগিরা ছাত্রী ধর্ষণ ও মাথা ন্যাড়া করার বিষয়টি স্বীকার করেছে বলেও পুলিশ সুপার জানান।
শ্রমিকলীগ নেতা তুফান সরকার ও তার দুই সহযোগী তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর