নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এবারও দলটির ব্যয়ের চেয়ে আয় বেশি বলে জানিয়েছেন দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদার কাছে দলের হিসাব জমা দেওয়া হয়।
আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৬ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব প্রধান নির্বাচন কসিশনারের কাছে দাখিল করা হয়েছে। এতে আয় হয়েছে ৪ কোটি ৮৪ লাখ ৩৪ হাজার ৯৭ টাকা এবং ব্যয় হয়েছে ৩ কোটি ১ লাখ ৮৪ হাজার ৭৯৯ টাকা। আয় বেশি হয়েছে ১ কোটি ৮২ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৯ টাকা।
তিনি বলেন, বর্তমানে দলের অ্যাকাউন্টে ব্যাংকে জমা আছে ২৫ কোটি ৫৮ লাখ ১১ হাজার ৪৪১ টাকা। ব্যাংক থেকে প্রাপ্ত মোট সুদের পরিমাণ ১ কোটি ২৪ লাখ ৬৪ হাজার ৭৯৬ টাকা। আয়ের প্রধান উৎস সম্পর্কে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদ, জাতীয় কমিটি, সহ-সম্পাদক, কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি, প্রাথমিক সমস্য সংগ্রহ ফি, সংসদ সমস্য, মনোনয়ন ফরম বিক্রয় (উপ-নির্বাচন) অনুদান এবং ব্যাংক সুদ।
ব্যয়ের প্রধান খাত হিসেবে তিনি জানান, কর্মচারীর বেতন, বোনাস, আপ্যায়ন ও অন্যান্য খরচ, কেন্দ্রীয় সভা/জনসভা, নির্বাচনী অফিস ব্যয়, উত্তরণ-পত্রিকা প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ, ত্রাণ কার্যক্রম, বিভাগীয় ও জেলা জনসভা, সহযোগী সংগঠন অনুষ্ঠান, সাংগঠনিক খরচ এবং অন্যান্য খরচ।
প্রতিনিধি দলে আরো—উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ডা. দীপু মনি এমপি ও উপ-দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ২০১৬ সালে নির্বাচন কমিশনে ২০১৫ সালের আয়-ব্যয়ের যে হিসাব দাখিল করেছিল সেখানে দলটি আয় দেখিয়েছিল ৭ কোটি ১১ লাখ ৬১ হাজার ৩৭৫ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৩ কোটি ৭২ লাখ ৮১ হাজার ৪৬৯ টাকা। অর্থাৎ সে সময় দলটি প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত দেখিয়েছিল।
সদস্যদের চাঁদা, উপ-নির্বাচনের ফরম বিক্রি, ব্যাংকের সুদ, অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা বিজ্ঞাপন বাবদ আয় থেকে ওই পরিমাণ অর্থ আয় করেছিল আওয়ামী লীগ। আর কর্মচারীদের বেতন, ত্রাণ কার্যক্রম, বিভিন্ন কর্মসূচি, সভা ও জনসভা প্রভৃতি খাতে দলটি ব্যয় দেখিয়েছিল।
ক্ষমতাসীন দলটি বিগত তিন বছরেই উদ্বৃত্ত দেখিয়েছে। ২০১৪ সালে দলটি আয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ৫ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪৩ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৩ কোটি ৪৪ লাখ ৪০ হাজার ৮২১ টাকা। এতে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা উদ্বৃত্ত ছিল আওয়ামী লীগের। ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছিল ৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এতে প্রায় ৬ কোটি টাকার দলটির উদ্বৃত্ত ছিল।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ