নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম নওশাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মো. মাহাবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত (স্মারক নং- ৪৬.০০.৩২০০.০১৭.২৭.০০৩.১৬.৩৬৭) এক চিঠিতে এ তথ্য জানা গেছে।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, ধাপেরহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. রফিকুল ইসলাম নওশার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারী জি.আর মামলা নং ১২০/১৬ বিজ্ঞ আদালতে গৃহীত হয়েছে। আদালতে উল্লেখিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিচারাধীন মামলায় অভিযোগপত্র আদালত কতৃক গৃহীত হওয়ায় তার দ্বারা ক্ষমতা প্রয়োগ জনস্বার্থের পরিপন্থী মর্মে সরকার মনে করে। সেহেতু উক্ত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩৪ (১) মোতাবেক সাময়িক ভাবে বরখাস্ত করা হলো।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোছা. রহিমা খাতুন বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশার বরখাস্তের বিষয়টি শুনেছি। তবে অফিসিয়াল আদেশের চিঠি হাতে পাইনি।
ফলাফল ঘোষণায় অনিয়মের অভিযোগ তুলে গতবছর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রফিকুল ইসলাম নওশা কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাটে সড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে তৎকালীন ইউএনওসহ পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের সরাতে চেষ্টা করলে অবরোধকারীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এসময় পুলিশের দুইটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক খেজমতপুর শাখার অফিস সহকারি লেবু মন্ডলসহ উভয়পক্ষের ১০জন গুরুতর আহত হন। পরে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় লেবু মন্ডল (৩৮) মারা যান।
ওই ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নওশাকে প্রধান আসামি করে ৪২ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৩-৪ হাজার অজ্ঞাত আসামি করে সাদুল্লাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রনি কুমার দাস ও এসআই রামজীবন ভৌমিক বাদী হয়ে সাদুল্লাপুর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করেন।