নিজস্ব প্রতিবেদক:
চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে চার সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ রবিবার এই আদেশ দেয়। চার সাক্ষী হলেন- শেখ মকবুল আহমদ,আমিরুল ইসলাম,অমল কান্তি দে ও দুদক কর্মকর্তা চৌধুরী এম এন আলম।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জয়নুল আবেদীন, জাকির হোসেন ভূঁইয়া। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। গত ২১ জুন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচজন সাক্ষীর জেরার করার অনুমতি দিতে হাইকোর্টে আবেদন করেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, এ মামলায় প্রসিকিউশনের ৩৬ জনের মধ্যে ৩২ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। এই ৩২ সাক্ষীর মধ্যে পাঁচজনকে খালেদা জিয়ার পক্ষে জেরা করা হয়নি। পাঁচজনকে জেরা করা অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলে গত ৮ জুন ওই পাঁচজন সাক্ষীকে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করেন বিচারিক আদালত। এ আদেশের বিরুদ্ধে গত ২১ জুন এই নামঞ্জুরের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। আজ পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে জেরা করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। পুরান ঢাকায় আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। এ মামলায় দুদকের পক্ষের ৩২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।
মামলার বিবরণী থেকে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামি হলেন তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব, বিআইডব্লিউটিএর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুন-অর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ