নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর সিদ্দিক বাজারের একটি জুতা কারখানার কর্মচারী আলমগীর হোসেন হত্যা মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার ঢাকার পরিবেশ আপিল আদালতের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মশিউর রহমান চৌধুরী এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করা হয়। এ ছাড়া দস্যুতার অভিযোগে প্রত্যেক আসামির ১০ বছর কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত। অর্থদণ্ড আনাদায়ের তাদের আরও তিন মাস করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন জনি (২৬), হাসান (২০) ও মনির হোসেন। তাদের মধ্যে হাসান ও মনির পলাতক।
দণ্ডিত আসামিরা সবাই ছিনতাইকারী ছিলেন। তারা দস্যুতা (ছিনতাই) করতে গিয়ে আলমগীরকে হত্যা করেন।
মামলার সূত্রে জানা যায়, আলমগীর হোসেন গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে জুতার কারখানার কর্মচারী ছিলেন। প্রতিদিনের মতো ২০০৯ সালের ১৩ আগস্ট ফ্যাক্টরির কাজ শেষে রাত সাড়ে তিনটার দিকে তার ভাতিজা মঞ্জুর হোসেনের সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে কদমতলী থানাধীন নতুন শ্যামপুর হাইস্কুল রোড সহিদ মোল্লার বাড়ির বিপরীত স্থানে আসামিরা তাদের গতিরোধ করে এবং সবকিছু দিয়ে দিতে বলে। আলমগীর দিতে না চাইলে প্রথমে চাকু দিয়ে তাকে আঘাত করে। পরে গলা কেটে হত্যা করে ছিনতাইকারীরা।
ওই ঘটনায় আলমগীরের স্ত্রী লায়লা আক্তার বাদী হয়ে রাজধানীর কদমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ২০০৯ সালের ২২ নভেম্বর মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার উপপরিদর্শক আব্দুল মানছুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার বিচারকালে আদালত ১৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর