নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ-ভারতের ৫টি রুটে ভাড়া নির্ধারণ না করে দুই বছরের জন্য বাস অপারেটর নিয়োগের টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সড়ক পরিবহন ও সেতু সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের চেয়ারম্যান ও ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারকে (অপারেশন) এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়াও ‘আন্তর্জাতিক বাস রুটে প্রটোকলের শর্ত লঙ্ঘন করে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে’ সরকারের কাছে যাত্রী কল্যাণ সমিতির করা আবেদন এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষে করা এ রিট আবেদনের বিষয়টি বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন রিটকারী মোজাম্মেল হক। এর আগে এক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ ওই রুল জারি করেন।
আদালতে যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এবিএম আলতাফ হোসেন ও এআরএম কামরুজ্জামান কাকন।
পরে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে ভারতের আন্তর্জাতিক বাস রুটে সরকার টু সরকার সম্পাদিত প্রটোকলের শর্ত অনুযায়ী ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা রুটে নাস্তাসহ ১১ ডলার (প্রায় ৯২০ টাকা) ভাড়া আদায়ের কথা থাকলেও সরকারি পরিবহন সংস্থা বিআরটিসিসহ সব বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো ১৭০০ থেকে ২০০০ টাকা হারে ভাড়া আদায় করছে। এতে এ রুটে প্রতিদিন যাতায়াতকারী প্রায় ৮০০০ যাত্রীর স্বার্থ চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘এ রুটটি চালুর পর ব্যাপক জনপ্রিয়তা হওয়ায় পরবর্তীতে আগরতলা-ঢাকা-কোলকাতা-ঢাকা-আগরতলা, ঢাকা-খুলনা-কোলকাতা-ঢাকা, ঢাকা-আগরতলা-ঢাকা, ঢাকা-সিলেট-শিলং-গোয়াহাটি-ঢাকা রুট সমূহ চালু হলে এসব রুটে এসি/নন এসি বাসের ভাড়া নির্ধারিত না থাকায় অপারেটর প্রতিষ্ঠানসমূহ ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।’
তিনি জানান, ৪ জুলাই একটি জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত একটি টেন্ডার বিজ্ঞপ্তিতে ৫টি রুটে অসম প্রতিযোগিতামূলক ভাবে অপারেটর নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ভাড়া নির্ধারণ না করে এ বিজ্ঞপ্তি চলমান ভাড়া নৈরাজ্যকে আরো বেশি উস্কে দেবে। এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের আগে ৫টি রুটে ১৯৯৯ সালের উভয় দেশের মধ্যে সম্পাদিত প্রটোকলের শর্তানুযায়ী ভাড়া নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে টেন্ডার কার্যক্রম সম্পাদন করতে হবে।
এ জন্য ১৩ জুলাই সরকারকে চিঠিও দিয়েছি। কিন্তু সরকার তা নিষ্পত্তি না করায় হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের পর হাইকোর্ট অন্তর্বর্তীকালীন আদেশসহ ওই রুল জারি করেন।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ