নিজস্ব প্রতিবেদক:
জনসম্মুখে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক ভিডিওর নির্মাণ বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবেনা, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ বিষয়ে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিটিআরসি-এর চেয়ারম্যান, সচিব, পুলিশের আইজিপি এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানী নিয়ে বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী এবং বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন ও আইনজীবী শিকদার মাহমুদুর রাজী। এর আগে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক ভিডিওর নির্মাণ বন্ধে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী (মিল্লাত) ও ব্যারিস্টার মিজান-উর রশীদ। পরে রুলের বিষয়টি ব্যারিস্টার নূর মুহাম্মদ আজমী সাংবাদিকদের জানান, আমরা দেখি রাস্তা ঘাটে অফিস ফেরত লোকজন এবং বিশেষ করে স্কুল কলেজের মেয়েরা এসব কারণে হেনস্থার সম্মুখীন হচ্ছেন। একজন আইনজীবী হিসাবে সমাজের প্রতি আমাদের কিছু দায়িত্ব রয়েছে। যে কোন সময় আমরা যে কেউ এই রকম হেনস্থার স্বীকার হতে পারি। তাই এই আশঙ্কা থেকে এটা যাতে এখনি বন্ধ হয়ে যায়, সেই মর্মে ব্যবস্থা নিতে আমি আদালতে রিটটি করি। আজ আদালত রাস্তা ঘাটে অর্থাৎ জনসম্মুখে হয়রানিমূলক প্র্যাঙ্ক ভিডিও নির্মাণ বন্ধে কেন প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হবেনা সে বিষয়ে রুল জারি করেছেন। উল্লেখ্য, এর আগে প্র্যাঙ্কের নামে জনসাধারণকে নব্য ইউটিউবারদের হেনস্তা শীর্ষক কিছু খবর বিভিন্ন পত্রিকায় ছাপা হয়। মূলত পশ্চিমা সংস্কৃতির নতুন এই ধারা বাংলাদেশের উঠতি তরুণদেরকে বেশি আকৃষ্ট করছে। যার ফলে তারা যখন যেখানে খুশী নিজেদের ইচ্ছা মত মানুষকে নিয়ে হাস্যকর ভিডিও তৈরী করছে।
দৈনিকদেশজনতা/এন এইচ