নিজস্ব প্রতিবেদক:
ভারী বৃষ্টি আর অস্বাভাবিক জোয়ারে টানা তৃতীয় দিনের মতো চট্টগ্রাম নগরীর অনেক এলাকা পানিতে ডুবে আছে। ভারী বর্ষণের কারণে সোমবার চট্টগ্রামের জনজীবন এক প্রকার থমকে আছে। চট্টগ্রামের দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসাকেন্দ্র চাকতাই খাতুগঞ্জ পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন সেখানকার ব্যবসায়ীরা।
গতরাত থেকে কখনো টানা, কখনোবা অঝোরে বৃষ্টি ঝরছে। চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণের কারণে নগরীর অনেকগুলো ব্যস্ত সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এতে করে সেইসব সড়কে যান চলাচল একপ্রকার বন্ধই আছে। নগরীর আগ্রাবাদ এলাকার এক্সেস রোড টানা তৃতীয় দিনের মতো পানিতে ডুবে আছে।
এক্সেস রোডের পার্শ্ববর্তী শান্তিবাগের বাসিন্দা এম এ কাদের জানিয়েছেন, গতরাত নয়টায় যেমন হাঁটু পানি ডিঙ্গিয়ে বাসায় যেতে হয়েছে, তেমনি আজ (সোমবার) সকালেও বাসা থেকে বের হওয়ার সময়ও একই রকম পানি ডিঙ্গিয়ে অফিসে আসতে হয়েছে।
এদিকে, আগের দিনের মতো সোমবারও চট্টগ্রামের ব্যবসাকেন্দ্র চাকতাই- খাতুনগঞ্জে স্থবিরতা বিরাজ করছে। এখানে জোয়ারের পানিতে কয়েকশ গুদাম তলিয়ে যাওয়ায় কোটি কোটি টাকার ভোগ্যপণ্য নষ্ট হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। চাকতাই খাতুনগঞ্জ ট্রেড এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ছগির আহমদ জানিয়েছেন, জোয়ার এবং বৃষ্টির পানিতে এখানকার ব্যবসায়ীদের যে সর্বনাশ হয়েছে তার প্রতিকারের ব্যবস্থা নেই। তিনি বলেন, জোয়ারের পানি থেকে এখানকার ব্যবসায়ীদের জরুরী ভিত্তিতে রক্ষা করতে হবে। তা না হলে অস্থিতিশীল হয়ে উঠবে ভোগ্যপণ্যের বাজার।
এদিকে, চট্টগ্রামে রোববার দুপুর বারোটা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। পাশাপাশি আগামী ২৪ ঘন্টায় একইভাবে ভারী বর্ষণ অব্যাহত থাকতে পারে বলেও পূর্বাভাস জারি করা হয়েছে।
পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, মৌসুমী বায়ু সক্রিয় থাকায় দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত অব্যাহত রাখা হয়েছে। বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ