রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার আথাকরা,দেহলা.দেবনগরসহ আশপাশের গ্রামবাসী এলজি নাসির বাহিনীর সন্ত্রাসী,চাদাবাজি, মামলা হামলাসহ নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে নানা ভাবে হয়রানি ও তুলে নিয়ে মারধর করার একাধিক অভিযোগ পাওয়া গেছে।সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের প্রতিবাদ করে মামলা ও হামলার স্বীকার হয়ে দেহলা গ্রামের মহিন আলী ড্রাইভার ও তার পরিবারের সদস্যরা ১৫ দিন যাাবত গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এলজি নাসির আথাকরা গ্রামের ফজল হকের ছেলে। সূত্রে জানায়, নাসির ভোলাকোট ইউনিয়নের পূর্ব দেহলা গ্রামের বাসিন্দা ও ঢাকার কাওয়ারন বাজার এলাকার এক সময়ের কূখ্যাত সন্ত্রাসী পিচ্ছি হান্নানের একান্ত সহচর আলী আকবর কাঞ্চন এর থেকে প্রশিক্ষন ও আর্থিক সহযোগিতা নিয়ে এলাকায় মাহবুবুর রহমান,জাকির,সেলিম, রহমান,হারুন,খোরশেদ,কাউছার, ইউছুপ,পলাশ, লুৎফর,সিয়ামসহ ২০/২৫ জনের একটি বাহিনী গঠন করে। উক্ত বাহিনী এলাকায় মাদক বিক্রি,সন্ত্রাসী ও সাধারন মানুষের মধ্যে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ, পারিবারিক বিরোধ, বিবাহ বিচ্ছেদ, ছেলে মেয়েদের মধ্যে প্রেম ইত্যাদি তুচ্ছ অযুহাতে মোটা অংকের চাদা আদায় করে আসছে। কখনো অর্থশালী পিতার ছেলেদেরকে ধরে এনে ইয়াবাসহ পুলিশে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করছে এবং মাদক ব্যাবসা করে এলাকার যুবসমাজকে ধ্বংশ করছে। খোজ নিয়ে জানা যায়,এলজি নাসির বাহিনীর হাতে বিগত দিনের আথকরা বাজার ব্যবসী আহাদ, রশিদ মিয়া, আথাকরা গ্রামের মুকবুল আহম্মদ,দেহলা গ্রামের দেনজি বাড়ির বদু মিয়া(৮০),হাজী বাড়ির প্রবাসী মোতালেব,খলিল মিয়া, আলী হায়দার বাড়ির বাচ্ছু মিয়া,পাটোয়ারী বাড়ির মিজান,সমেষপুর গ্রামের প্রবাসী জাহাঙ্গীরসহ শতাধিক পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। পূর্ব দেহলা গ্রামের মহিন ড্রাইভার বিগত দিনে নাসির বাহিনীর অপরাধে প্রতিবাদ করায় একাধিকবার হামলার স্বীকার হয়েছে। চলতি মাসের ৯ জুলাই উপজেলার আ”লীগের কাউন্সিলার তালিকা তৈরী করাকে কেন্দ্র করে আথাকরা বাজারে দু’গ্র“পের সংঘর্ষে আরিফ হোসেন, মহসিন মেম্বারসহ ৫জন আহত হয়। এ সময় নাসির বাহিনীর সদস্যরা জসিম উদ্দিনের একটি হোন্ডা নিযে যায়। পরবর্তিতে আলী আকবর কাঞ্চন বাদী করে মহিন আলী ড্রাইভার, মোহাম্মদ আলী, কিরন, মোহন নুর হোসেনসহ একই পরিবার ও বাড়ির ১৪জনকে আসামী করে একটি মামলা করে এবং ফ্যাক ছবি দিয়ে মহিন ড্রাইভারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্থানে পোষ্টার ও লিফলেট বিতরন করে। মামলা পুলিশ মহিন আলীকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে। এর ১দিন পরে মহিনসহ ১৪জন জামিনে আসলেও নাসির বাহিনী ও কাঞ্চন হুমকী ধমকিসহ নানা ভয়ভীতি দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পালিয়ে বেডাচ্ছে।মহিন ড্রাইভার জানান, নাসির ঢাকার কাওয়ারন বাজার এলাকার সন্ত্রাসী আলী আকবর কাঞ্চন থেকে অস্ত্রের সহযোগিতা নিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। প্রতিবাদ করতে গিয়ে কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছি। ৯জুলাই দু‘গ্র“পের সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যকে আসামী করা হয়। উক্ত মামলার জামিনে থাকলেও তাদের ভয়ে বাড়িতে যেতে পারিনা। এব্যাপারে বার বার যোগাযোগ করেও নাসিরকে পাওয়া যায়নি। তবে আলি আকবর কাঞ্চন বলেন,এলজি নাসির ও মহিন ড্রাইভারের পৃথক সন্ত্রাসী গ্র“প রয়েছে। দুই গ্র“প একত্রি হয়ে এলাকাতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। স্বার্থ পুড়িয়ে গেলে এক গ্র“প অন্য গ্র“পের বিরুদ্ধাচারন করে। আমি ও আমার ভাই ঢাকার কারন বাজারের ব্যবসায় করি পিচ্ছি হান্নানের সাথে আমার কখনো সর্ম্পক্য ছিলো না।নাসির গ্র“পকে আমি প্রশিক্ষন কিংবা অর্থদাতার অভিযোগটি সম্পুর্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক। ভোলাকোট ইউপি চেয়ারম্যান বশির আহমেদ বলেন,এলজি নাসির বাহিনী বলতে কোন বাহিনীর অস্থিত্ব নেই। আমাকে রাজনীতিক ভাবে হেয় করতে একটি গ্র“প পরিকল্পিত ভাবে একটি গ্র“প অপপ্রচার চালাচ্ছে। রামগঞ্জ থানার ওসি মোঃ তোতা মিয়া বলেন,নাসির এলাকাতে বিভিন্ন অপরাধ করার কথা শুনে আসছি। তবে তার বিরুদ্ধে তেমন কোন লিখিত অভিযোগ কিংবা এজাহার দায়ের করা না হওয়ায় আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।
দৈনিক দেশজনতা /এন আর