২২শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | সন্ধ্যা ৭:৪২

পুলিশের দাবি ইউএনওকে হাতকড়া পরানো হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

বঙ্গবন্ধুর ছবি বিকৃতির অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিবৃতি দিয়ে পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে বরগুনার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজী তারেক সালমনকে কোনও হাতকড়া পরানো হয়নি বলে ।
বিবৃতিতে জানানো হয় যে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে ‘ইউএনও’র জামিন মঞ্জুর/ না-মঞ্জুরের বিষয়টি বিভিন্ন মহল, গণমাধ্যম ও সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে । বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন মনে করে যে ভিত্তিহীন অভিযোগে কর্মরত একজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের এবং পরবর্তী সময়ে সংশ্লিষ্ট মহলগুলোর উদাসীনতার কারণে তাকে যে ভোগান্তির স্বীকার হতে হয়েছে, তা অগ্রহণযোগ্য ও নিন্দনীয়। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন গাজী তারেক সালমনের প্রতি পূর্ণ সহানুভূতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ করছে ।
বিভিন্ন মহল থেকে ‘পুলিশ কিভাবে মামলা নিল,  কেন নিল? কেন গ্রেফতার করল?’—এ ধরনের প্রতিক্রিয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সুস্পষ্ট বক্তব্য হলো যে এই বিষয়ে কোনও থানায়ই কোনও মামলা রুজু হয়নি এবং পুলিশও গাজী তারেক সালমনকে গ্রেফতার করেনি। প্রকৃত তথ্য হলো কথিত অবমাননার অভিযোগে অভিযোগকারী বিজ্ঞ আদালতে দ. বি. ৫০১ ধারায় সিআর মামলা নং ৪২৭/১৭ রুজু করেন। সিআর মামলা রুজু করলে আদালত থেকে তাকে হাজির হওয়ার জন্য সমন জারি করা হয়। গাজী তারেক সালমন সমনের পরিপ্রেক্ষিতে  আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তার জামিন না মঞ্জুর করেন। এক্ষেত্রে পুলিশের কোনও পর্যায়েই ভূমিকা রাখার অবকাশ ছিল না।
বিবৃতিতে আরো বলা হয় যে  কোনও কোনও গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ‘পুলিশ কেন তাকে হাতকড়া পরালো?’ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে বলে। পুলিশ গাজী তারেক সালমনকে কোনও হাতকড়া পরায়নি । বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হবে গাজী তারেক সালমানের সঙ্গে পুলিশের ছবি ভালোভাবে পর্যালোচনা করলে । যেহেতু এ বিষয়ে প্রকাশিত ছবি ও ভিডিওসহ নানা ধরনের দালিলিক প্রমাণ রয়েছে, সেহেতু কোনও ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ নেই। কারও কারও বক্তব্যে পুলিশ রেগুলেশনের ৩৩০ বিধি অমান্যপূর্বক গাজী তারেক সালমনের ওপর বল প্রয়োগ করে টেনে-হেচঁড়ে কোর্ট হাজতে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে, যা তথ্য নির্ভর নয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই যে পুলিশ এক্ষেত্রে কোনোভাবেই বল প্রয়োগ করা হয়নি কিংবা টেনে হেঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়নি।’

বিবিসি কে দেয়া এ সাক্ষাৎকারে ইউএনও সালমন জানান ‘আমাকে ঠিক গ্রেফতার করা হয়নি, আমার জামিনের আবেদন কোর্টে না মঞ্জুর করা হয়। তারপর আমাকে কোর্টের গারদ খানায় নিয়ে যাওয়া হয়। আমাকে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। তখন আমি পুলিশকে অনুরোধ করেছিলাম, দয়া করে আমাকে একটু সময় দিন, আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানানোর সুযোগ দিন। আমার অনুরোধে পুলিশ আমাকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ করে দেয়’ ।

দৈনিকদেশজনতা/ আই সি

প্রকাশ :জুলাই ২৩, ২০১৭ ১০:৫৫ পূর্বাহ্ণ