নিজস্ব প্রতিবেদক:
সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক পদক্ষেপ না নেয়া হলে আজ রবিবার মধ্যরাত থেকে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের নৌযান ধর্মঘট শুরু হবে। এদিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বিদ্যমান নাজুক পরিস্থিতিতে নৌযান ধর্মঘটের এই কর্মসূচি সংকট গভীর করবে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম চেম্বার থেকে নৌযান ধর্মঘট না করতে এবং শ্রমিকদের দাবির ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরি গেজেট অনুযায়ী বকেয়াসহ প্রদান, শ্রমিকদের নিয়োগপত্র, পরিচয়পত্র ও সার্ভিস বই প্রদান, বাংলাদেশ ও ভারতের কারাগারে আটক ১৬ জন নৌযান শ্রমিকের নিঃশর্ত মুক্তিসহ ২১ দফা দাবি আদায়ে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে বেতন ভাতার পাশাপাশি চলাচল উপযোগী বন্ধ তেলবাহী জাহাজ চালু, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, ডিজি শিপিং ও মেরিন কোর্টের হয়রানি, পরীক্ষায় অনিয়ম, দুর্নীতি বন্ধ, নৌ-পথের নাব্যতা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত মার্কা-বয়া-বাতি স্থাপন, নৌপথে চাঁদাবাজি ও ডাকাতি বন্ধ, অ্যালাউন্স, বিদেশ ভাতা, মৃত্যুকালীন ক্ষতিপূরণ প্রদান, ফিশিং ট্রলার শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত ন্যূনতম মজুরির গেজেট অনুযায়ী গ্রেডিং করে এরিয়ারসহ বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান, ভারতগামী জাহাজ শ্রমিকদের ল্যান্ডিং পাস প্রদান, বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক মাস্টার-ড্রাইভারসহ নৌযান শ্রমিকদের হয়রানি, নির্যাতন বন্ধসহ ২১ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়।
এদিকে সারাদেশে সকল নৌযানে লাগাতার কর্মবিরতির সমর্থনে দেশব্যাপী বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ও বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের বিক্ষোভ সমাবেশের অংশ হিসাবে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ ও নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রাম অঞ্চলের উদ্যোগে শনিবার বিকেল ৩টায় বন্দরনগরীর দোস্ত বিল্ডিং চত্বরে এক শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের চট্টগ্রাম জেলা সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মামুন, নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ কুমার চৌধুরী, লাইটারেজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নবী আলম মাস্টার, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ সাহেব আলী, মোহাম্মদ আলমগীর কবির, মোহাম্মদ সৈয়দ হোসেন মাস্টার, সামসুদ্দিন ভূঁইয়া মাস্টার, আজিজুর রহমান ড্রাইভার, হাসান মাস্টার, শহিদুল ইসলাম মাস্টার, সিরাজুল ইসলাম মাস্টার প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি