নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর অভ্যন্তরের সড়ক-মহাসড়ক টানা চার দিনের ভারী বর্ষণে বেহাল হয়ে পড়েছে । জেলার অধিকাংশ সড়ক মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এতে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের’র নিজ জেলায় যোগাযোগ ব্যবস্থার এই হাল হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ জনগণের। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে বৃষ্টির প্রবণতা কমার সঙ্গে সঙ্গে সড়কগুলোর উন্নয়নে কাজ শুরু হবে। শুক্রবার দিনভর জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে যে সোনাপুর-ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক, চৌমুহনী-মাইজদী-সোনাপুর সড়ক, চৌমুহনী-সোনাইমুড়ী-রামগঞ্জ-চাটখিল সড়ক, চৌমুহনী-চন্দ্রগঞ্জ-লক্ষীপুর সড়ক, চৌমুহনী-দাগনভূঁইয়া-ফেনী সড়কের অধিকাংশ এলাকা এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। অনেক আগেই চৌমুহনী শহর থেকে সেনবাগের ছাতারপাইয়া সড়কতো চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে । বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সড়কটির নাবিলা হাসপাতালের সামনে, কলেজ গেইটের পাশে । এছাড়াও চৌমুহনী-ফেনী সড়কের মিয়ারপোল, চৌমুহনীর চৌরাস্তায় বাসস্ট্যান্ড, পৌরসভা গেইট, উপজেলা পরিষদ ও থানার সামনের সড়কে । এতে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে যানবাহন ও সাধারণ মানুষ চলাচল।
গত কয়েক দিন থেকে টানা বৃষ্টিপাতের কারণে সড়কে গর্তগুলো যেন মৃত্যুকুপে পরিণত হয়েছে। সড়কের মাঝখান দিয়ে বড় বড় গর্ত হয়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা ও ভূক্তভোগী জনগণ সড়কগুলো সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার বললেও কোন কাজ হচ্ছেনা। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মাঝে মধ্যে সড়কের মাঝের গর্তগুলো সংস্কার করা হলেও বৃষ্টির পানিতে সেগুলো আরো বড় হয়ে ওঠে। ফলে সড়ক দিয়ে চলাচলকারী ছোট-বড় অনেক যানবাহন উল্টে গিয়ে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। অথচ এই সড়ক-মহাসড়কগুলো দিয়ে লক্ষীপুর, রামগঞ্জ, ভোলা, বরিশাল, যশোর, কুড়িগ্রামসহ দেশের দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের অন্তত ১৫ টি জেলার শত শত যানবাহন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।
নোয়াখালী জেলা ট্রাক, ট্রেংলরি, কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সভাপতি হাজী আবুল বাহার জানান, রাস্তার বেহাল দশার কারণে সড়কে প্রতিদিনই বাড়ছে দুর্ঘটনা সাথে ঘটছে আহত-নিহতের ঘটনা । বিকল হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। এর ফলে বেকার হচ্ছে পরিবহন শ্রমিকরা। তিনি দ্রুত রাস্তাগুলো সংস্কারের দাবী জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে নোয়াখালী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদ হাসান জানান যে টানা বৃষ্টির কারণ যে সকল সড়ক নষ্ট হয়েছে বৃষ্টি কমলে সেগুলো দ্রুত সংস্কার করা হবে। তবে বরাদ্ধ না থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করা যাচ্ছেনা ।
দৈনিকদেশজনতা/ আই সি