নিজস্ব প্রতিবেদক:
খুলনায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দু’জন নিহত হয়েছেন। মহানগরীর রেলওয়ে প্রভাতী স্কুলের পিছনে সোমবার ভোরে সদর থানা পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। নিহতরা হলেন—মহানগরীর মধ্যপাড়া এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে বাবু ওরফে গুড্ডু বাবু (৩৫) এবং দৌলতপুর পাবলা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. আল মাহমুদ (২৪)। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি, ২টি চাপাতি, একটি ছোরা ও ২টি রামদা উদ্ধার করা হয়।এদিকে মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানা পুলিশের অভিযানে নূরনগর এলাকায় ইয়াসিন আরাফাত নামে অপর এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ। এ সময় দেশীয় একটি পাইপগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) মুখপাত্র এডিসি মনিরা সুলতানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানান, সন্ত্রাসী গুড্ডু বাবুকে নিয়ে তার সহযোগিদের গ্রেফতার এবং অস্ত্র উদ্ধারের জন্য ভোরে রেলওয়ে এলাকার প্রভাতী স্কুলের পেছনে অভিযানে যায় পুলিশ। সেখানে আগে থেকে অবস্থানরত সন্ত্রাসীরা পুলিশের উপস্থিতি টের টেয়ে গুলি চালায়। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। গুলি বিনিময়কালে গুড্ডু বাবু ও তার সহযোগী আল মাহমুদ গুলিবিদ্ধ হয়। তাদের খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের বিরুদ্ধে যুবলীগ কর্মী সাইদুর হত্যা মামলাসহ ৪টি মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পাইপগান, ৩ রাউন্ড গুলি ও ৪টি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। সোনাডাঙ্গা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, মহানগরীর নূরনগর এলাকায় ভোরে পৃথক অভিযানে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়। এরপর পুলিশ অস্ত্র ও গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী ইয়াসিন আরাফাতকে গ্রেফতার করে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও অপহরণসহ ৬টি মামলা রয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক: