মো: গোলাম আযম সরকার, (রংপুর) :
তিস্তার তীব্র স্রোত আছড়ে পড়েছে রংপুরের পীরগাছা উপজেলার ২টি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চালের গ্রাম গুলোতে এর ম ধ্যে পূর্ব শিবদেব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি যে কোন মহুত্তে চলে যেতে পাড়ে তিস্তার বুকে। বর্তমানে তিস্তা থেকে বিদ্যালয়ের দূরত্ব মাত্র ২০০ ফিটের মধ্যে এসে গেছে।
শিবদেব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আইয়ুব আলী বলেন, বর্তমানে এই বিদ্যালয়ে ২২০ জন শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রগন করছেন। গত বছরে এই বিদ্যালয়টিপরিদর্শন করেছেন উপজেলা চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। বর্তমানে নর্দীএকেবারেই নিকটে চলে এসেছে যা ২০০ ফিটের মধ্যে। আমি এব্যাপরে সকলকে বিষয়টি অবগত করার পরেও কোন প্রকার সমাধানের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
২০১৩ সালে কয়েক কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মাণ করা হয়েে এই দ্বিতলা ভবনটি এবং ২০১৪ সালে এই ভবনে আমরা পাঠদান শুরু করি।
বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রয়েল, লাবনী সহ অনেকে বলেন আমরা ভয়ে ভয়ে বিদ্যালয়ে এসে শিক্ষা গ্রহণ করছে।
বিদ্যালয়ের সহ সভাপতি মো: তোজ্জামেল হোসেন বলেন, বিদ্যালয় টি রক্ষা করা সবারে দরকার।
এছাড়াও ২টি ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্মাঞ্চালে গ্রামের পর গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে। হাজার হাজার হেক্টর ভুট্টা, পাটসহ ফসলি জমি এখন তিস্তার পানির নিচে।
পীরগাছায় তিস্তা নদীর ভাঙ্গনে বিলিন হচ্ছে বিস্তৃর্ণ জনপদ ও ফসলী জমি। গত এক সপ্তাহে উপজেলার ছাওলা ও তাম্বুলপুর ইউনিয়নের অনেক জমি চলে গেছে নদীগর্ভে। হুমকীর মূখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ ও ক্লিনিক কয়েক হেক্টর আবাদী জমি। ভাঙ্গনের শিকার মানুষগুলো তাদের ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
নদী পাড়ের মানুষরা জানায়, তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও হুমকী মূখে পড়েছে ওই এলাকার পূর্ব শিবদেব চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বি-তল ভবন, একটি মাদ্রাসা, একটি কমিউনিটি ক্লিনিক ও দু’টি মসজিদসহ থেতরাই, জুয়ান সদরা, পূর্ব ছাওলা, চৌমুহনীসহ প্রায় ৮/১০টি গ্রাম।
নদী ভাঙ্গনের শিকার শিবদেব চরের বাসিন্দারা বলেন, গত কয়েক দিনের গুড়ি ড়–ড়ি বৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীতে তীব্র বেগে ¯্রােত প্রবাহিত হওয়ায় নদী ভাঙ্গন প্রকট আকার ধারন করেছে। ফলে প্রতিদিন তিস্তার গর্ভে চলে যাচ্ছে শতশত একর আবাদী জমি, বসতভিটা ও ঘরবাড়ি।
ছাওলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহ আব্দুল হাকিম বলেন, নদী ভাঙ্গন ছাড়াও বৃষ্টির পানিতে তার ইউনিয়নের নীচু ৮ টি গ্রাম তলিয়ে যাওয়ায় কয়েক হাজার মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আব্দুল আজিজকে একাধিকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিফ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভ্যাব হয় নি।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর