এম,এ,জাফর লিটন,শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ)
শাহজাদপুর উপজেলায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে লক্ষাধিক পরিবার। প্রায় ৫০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ পড়েছে। বানভাসীদের মাঝে ত্রাণের হাহাকার দেখা দিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় ত্রান অপ্রতুল বলে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। শাহজাদপুর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের সিংহভাগ এলাকা এখন পানির নীচে। তবে শুধু মাত্র যমুনা তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যার পানির পাশাপাশি নদী ভাঙ্গনের কারণে দূর্গত মানুষের দূর্ভোগ ভয়াবহ হয়ে গেছে। শাহজাদপুর উপজেলা প্রশাসন গত মঙ্গল ও বুধবার বিকেলে উপজেলার ৩টি ইউনিয়ন কৈজুরী,গালা,সোনাতনী ইউনিয়নের ২ হাজার পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও কৈজুরী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, সোনাতনী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান,উপজেলা নির্বাহী অফিসার আলীমুন রাজীব, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জেন্দার আলী , সাংবাদিক, ইউপি চেয়ারম্যানরা। বানভাসী মানুষের মাঝে নগদ টাকা, ১০ কেজি করে চাল ,শুকনো খাবার ও ঔষধ বিতরণ করা হয়। বিতরণী এলাকগুলি হচ্ছে কৈজুরী ইউনিয়নের হাটপাঁচিল,জয়পুরা,ঠুটিয়ার চর,ভাটদিঘুলিয়াচর, সোনাতনী ইউনিয়নের শ্রীপুর,ধীতপুর, সোনাতুনী,চাঁনতাঁরা, জালালপুর ইউনিয়নের ভেকা,জালালপুরের চর,। পানিবন্দি পরিবারের অনেক সদস্যই ঘরের চালে এবং টুইয়ের মধ্যে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। পানিবন্দি পরিবারদের আশ্রয় দেয়ার মতো কোনো ঠাঁই নেই। অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছে বানভাসী পরিবারগুলো। ত্রানের নৌকা ভিড়তে দেখলেই হাটু পানি বুক পানি পেড়িয়ে নারী-পুরুষ ত্রানের জন্য ভিড় জমাচ্ছে। বানভাসী মানুষগুলো ত্রাণের জন্য হাহাকার করছে। এব্যাপারে উপজেলার নির্বাহী অফিসার আলীমুন রাজীব জানান, সরকারিভাবে এপর্যন্ত ২০ টন চাল এবং দেড় লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই বিশাল এ উপজেলার প্রতিটি এলাকায় ত্রান পৌছাতে অনেক বেশি বরাদ্ধ প্রয়োজন ।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর