বৈঠক সূত্র বলেছে, এবার প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কত কোটি বই বিতরণ করা হয়েছে, বর্তমানে দেশে কত মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে, সরকার কৃষকদের কি পরিমাণ সহায়তা দেয় এভাবে বেশ কিছু সাংসদের কাছে সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে জানতে চান তিনি। কিন্তু কেউ এসব প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সরকারের সাফল্য প্রচারে ব্যর্থতার কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়নে সরকারের সাফল্য আছে। কিন্তু এই সাফল্য প্রচারে সফল নয় আওয়ামী লীগ। এই ব্যর্থতার জন্য তিনি দলীয় সাংসদদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সরকারের সাফল্য মানুষের কাছে তুলে ধরার নির্দেশ দেন। এ সময় সাংসদদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আরও তৎপর হয়ে মানুষকে উন্নয়নের তথ্য জানানোর নির্দেশ দেন।
সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী নির্বাচনে কারা দলের মনোনয়ন পাবেন তা জানার জন্য তিনি ছয় মাস অন্তর অন্তর জরিপ চালাচ্ছেন। বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্য সংগ্রহ করছেন। এসব জরিপে যার অবস্থান ভালো আসবে, তারাই মনোনয়ন পাবেন। এ বিষয়ে কারও কথা শোনা হবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে হবে। ফলে যাকে মনোনয়ন দিলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আসবে তাকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে বলে দলীয় নেতাদের সতর্ক করেন শেখ হাসিনা। তিনি নেতাদের আরও বলেন, যাদের অবস্থা খারাপ, তাদের এখনো ভালো করার সুযোগ আছে। এ সময়ের মধ্যে নিজেদের অবস্থান ভালো করতে পারলে মনোনয়ন দেওয়া হবে।
M/M