নিজস্ব প্রতিবেদক:
সীমান্ত হত্যা, মাদকদ্রব্যসহ চোরাচালান ও অবৈধ সীমান্ত অতিক্রম প্রতিরোধে এবং বিএসএফ ও ভারতীয় নাগরিক দ্বারা বাংলাদেশী নাগরিক হতাহতের ঘটনা শুন্যের কোটায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে দিনাজপুরে অনুষ্ঠিত হয়েছে জনসচেতনতামূলক মতবিনিময় সভা। মতবিনিময় সভা শেষে ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় জনসাধারণকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা এবং ঔষধ বিতরণ করা হয়।১১ জুলাই মঙ্গলবার সকালে থেকে দুপুর পর্যন্ত ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ চান্দেরহাট কোম্পানীর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলাধীন “তেতরা দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা মাঠ” প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হয় এ সভা। সভায় ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ মাহবুব মোর্শেদ, পিএসসি,বোচাগঞ্জ ছাতোইল ইউপি’র চেয়ারম্যান মোঃ হাবিবুর রহমান, চান্দেরহাট কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার মোঃ আতাউর রহমান, পরমেশ্বরপুর বিওপি কমান্ডার নাঃ সুবেঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল জব্বার, তেতরা দারুল ইসলাম দাখিল মাদ্রাসা প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ রইসুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক মাওলানা মোঃ মাহবুব আলম উপস্থিত ছিলেন।
দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলাধীন ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ বিওপি সমূহে নিয়োজিত বিজিবি সদস্যরা সার্বক্ষনিক টহল তৎপরতা দ্বারা নিরলস প্রচেষ্টার মাধ্যমে সীমান্ত সুরক্ষা, সীমান্তে বসবাসরত জনসাধারণের জানমাল রক্ষা এবং চোরাচালান প্রতিরোধ কার্য পরিচালনা করে আসছে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে যে সকল অপরাধ/দূর্ঘটনা সমূহ সাধারণত সংঘটিত হয়ে থাকে যেমন-অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক সীমানা লঙ্ঘন, দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক কাটা তারের বেড়া কেটে অবৈধ অনুপ্রবেশ, মাদকদ্রব্য চোরাচালান, বাংলাদেশী জনসাধারণ কর্তৃক ভারতীয় ভূমিতে গবাদিপশু চড়ানো, গরু চোরাচালান, বিএসএফ/ভারতীয় নাগরিক কর্তৃক বাংলাদেশী নাগরিক হতাহত হওয়া ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা ও মতবিনিময় হয়। চোরাকারবারীরা ক্ষেত্র বিশেষে কাটাতারের বেড়া কর্তন করতঃ সীমান্ত লংঘন করে ভারতে অনুপ্রবেশ করে ও অবৈধভাবে ভারত হতে গবাদি পশু ও অন্যান্য মালামাল আনয়ন করে। কাটাতারের বেড়া কাটার প্রেক্ষিতে বিএসএফ গুলি করলে বাংলাদেশী নাগরিকদের প্রাণহানি ঘটে যা কোন পক্ষেরই ইচ্ছাকৃত নয়। এ ধরণের অনভিপ্রেত ঘটনা এড়াতে চোরাচালানকে নিরুৎসাহিত ও ক্রমান্বয়ে প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। তাহলেই অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ করা যাবে, ফলে সীমান্ত হত্যা শুন্যের কোটায় নেমে আসবে। এছাড়া অপরাধীরা চোরাচালানের সাথে সম্পৃক্ততাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিজিবি এর পাশাপাশি জনপ্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, পুলিশ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান সমূহ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও জনসাধারণ আন্তরিক সহযোগিতা প্রদান করলেই সীমান্ত অনুপ্রবেশ ও চোরাচালান প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে বলে অধিনায়ক অভিমত ব্যক্ত করেন। এ ব্যাপারে ৪২ বর্ডার গার্ড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিসহ সর্বস্তরের জনসাধারণের নিকট সহযোগিতা কামনা করেন।