নিজস্ব প্রতিবেদক:
দুই বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে বনানীর একটি হোটেলে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতরা যতই প্রভাবশালী হোকনা কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) শেখ নাজমুল আলম।
সোমবার (৮ মে) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘দুই ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ছায়া তদন্ত করছে গোয়েন্দা পুলিশ। একটা ক্রাইম ঘটেছে, মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে ক্রাইমটিমের পাশাপাশি আসামিদের গ্রেফতার করতে আমরাও কাজ শুরু করেছি।’
শেখ নাজমুল আলম আরও বলেন, ‘আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। তারা যতই প্রভাবশালী হোক তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
আসামিরা অনেক প্রভাবশালী, তাই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছেনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এর চেয়েও প্রভাবশালীদের আমরা এর আগে গ্রেফতার করেছি।’
আসামিরা বিদেশ পালিয়ে গেছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নাজমুল আলমম বলেন, ‘তারা যাতে বিদেশে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা তাদের অবস্থান নিশ্চিত করেছি। তদন্তের স্বার্থে তাদের অবস্থান জানানো যাচ্ছে না। ডিবি পুলিশ তাদের মতো করে কাজ করছে।’
উল্লেখ্য, রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে ১১ ঘণ্টা অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে জোর করে নেশা জাতীয় মদ্যপান করিয়ে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় তিন তরুণসহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তরুণীরা।
মামলার অভিযুক্ত ৫ জন হলেন- সাফাত আহমেদ (২৬), নাঈম আশরাফ (৩০), সাদমান সাকিফ (২৪), গাড়ি চালক বিল্লাল (২৬) ও অজ্ঞাতনামা সাফাতের দেহরক্ষী।
মামলার বাদী ধর্ষিতা এক তরুণী ব্রেকিংনিউজকে জানান, তিনি, তার দুই বান্ধবী ও এক বন্ধুকে বনানীর কে ব্লকের ২৭ নম্বর রোডের ৪৯ নম্বর দ্য রেইন ট্রি হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অভিযুক্তরা অস্ত্রের মুখে আটকে রেখে মারধর করে ও গালিগালাজ করে। আগে থেকেই ওই হোটেলে দুটি কক্ষ ভাড়া করে রেখেছিলেন অভিযুক্ত ধর্ষকরা। পরে বাদী ও তার অপর এক বান্ধবীকে দুটি কক্ষে নিয়ে গিয়ে জোর করে নেশা জাতীয় মদ্যপান করিয়ে ধর্ষণ করে।
M/H