নিজস্ব প্রতিবেদক:
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এমএ মান্নান তৃতীয়বার সাময়িক বরখাস্তের তিনদিন পর মেয়রের চেয়ারে পুনরায় বহাল হয়েছেন। সোমবার দুপুর ১টার দিকে তিনি নগর ভবনে আসেন এবং নিজ দফতরে মেয়রের চেয়ারে বসেন।
এ সময় মেয়র এম এ মান্নান এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় হতে আমাকে সাময়িক বরখান্ত করা হয়েছিল। আমি সেই আদেশের বিরুদ্ধে গতকাল (রবিবার) হাইকোর্টে রীট করেছি। সেই রীটের শুনানীতে আমার অনুকুলে আদেশ পেয়েছি। আমি সিটি করপোরেশনের দায়িত্ব পালন করার অনুমতি পেয়েছি। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে আবার দায়িত্ব পালন করার জন্য নগর ভবনে এসেছি। এ সময় তিনি সকলের দোয়া এবং সহযোগিতা কামনা করেন।
অধ্যাপক এমএ মান্নান নগর ভবনে পৌছলে বিএনপি নেতাকর্মী, বিএনপি পন্থী কাউন্সিলরগণ এবং সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারিরা তাকে ফুলের মালা দিয়ে ও ফুল ছিটিয়ে স্বাগত জানান। পরে তিনি দোতলায় তার নিজ দপ্তরে যান এবং মেয়রের চেয়ারে বসেন।
দুদকের একটি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহিত হলে গত বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) অধ্যাপক এম এ মান্নানকে সাময়িক বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এর আগে নাশকতার দুটি মামলায় অভিযোগপত্র গৃহিত হলে একই মন্ত্রণালয় পর্যায়ক্রমে ২০১৫ সালের ১৯ আগষ্ট এবং ২০১৬ সালের ১৯ এপ্রিল তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল।
এর আগে অধ্যাপক এমএ মান্নান দীর্ঘ দিন বরখাস্ত এবং কারাভোগের পর আইনি লড়াইয়ে জয়ী হয়ে গত ১৮ জুন মেয়রের চেয়ারে বসেছিলেন।
উল্লেখ্য, যাত্রীবাহীবাসে পেট্রলবোমা হামলার মামলায় ২০১৫ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি মেয়র মান্নানকে ঢাকার বারিধারার বাসভবন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর থেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন প্যানেল মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ।
এদিকে ২০১৬ সালের ২ মার্চ অধ্যাপক মান্নান জামিনে মুক্তি পান। পরে ওই বছরের ১৫ এপ্রিল রাতে অধ্যাপক এমএ মান্নানকে ফের গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া ৩০টি মামলায় জামিন লাভের পর ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি মুক্তি পান।
দৈনিক দেশজনতা/এন আর