দৈনিক দেশজনতা ডেস্ক:
বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেয়ার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। শনিবার ঢাকায় সফররত জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ফিলিপো গ্রান্ডির সঙ্গে বৈঠক কালে এ আহ্বান জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী মিয়ানমারের শরণার্থী ও অনিবন্ধিত নাগরিকদের মানবিক সহায়তায় বাংলাদেশ সরকারের নেয়া পদক্ষেপের কথা জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধানকে অবহিত করেন। এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকমিশনারকে জানান, ২০০৫ সাল পর্যন্ত দুই লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রাখাইন মুসলিমকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
মিয়ানমারের এই বিশাল সংখ্যক নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতা করায় ইউএনএইচসিআরকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তবে ২০০৫ সালের পর থেকে বাংলাদেশ থেকে নিজেদের নাগরিকদের ফেরত নেয়ার প্রক্রিয়া মিয়ানমার সরকার স্থগিত রেখেছে।
হাইকমিশনারকে বিষয়টি অবহিত করে এ ব্যাপারে উদ্বেগ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি জানান, ১০ হাজার ৮২০ শরণার্থীর পরিচয় বাংলাদেশ-মিয়ানমার উভয় পক্ষ যাচাই করে নিশ্চিত হওয়ার পরেও তাদের প্রত্যাবর্তন বন্ধ রয়েছে।
বর্তমানে কক্সবাজার জেলায় মিয়ানমারের বিপুল সংখ্যক নাগরিক অব্যাহতভাবে অবস্থান করায় সেখানে ও আশেপাশের জেলাগুলোতে আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক,জনমিতিক-পরিবেশগত-মানবিক এবং নিরাপত্তাজনিত বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
বৈঠকে জাতিসংঘ হাইকশিনার দীর্ঘদিন ধরে মিয়ানমারের বিপুলসংখ্যক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা প্রদান করায় বাংলাদেশ সরকারের প্রশংসা করেন। এছাড়া রাখাইন রাজ্যে অস্থিতিশীলতার জন্য রাখাইন মুসলমিদের নাগরিকত্ব না দেয়াকে প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেন।
প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সফর করছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) গ্রান্ডি। তিনি আগামী সোমবার কক্সবাজারে শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করবেন এবং তাদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন। এরপর আগামী ১১ জুলাই মঙ্গলবার তিনি ঢাকা ত্যাগ করবেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ