নিজস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুক না পেয়ে স্ত্রী ফারহানা আক্তার টুম্পা (২১) কে হত্যা করেছে শ্রমিকলীগ নেতা মো: আজাদ।নিহত ফারহানা আক্তার টুম্পা কুতুবপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের কন্যা।জানা গেছে, দূর্গাপুর ইউনিয়নের শরিয়ত উল্যাহর পুত্র শ্রমিকলীগ নেতা আজাদের সাথে ২০১৫ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক পাশ্ববর্তী কুতুবপুর ইউনিয়নের ব্যাপারী বাড়ির আবুল কাশেমের কন্যা ফারহানা আক্তার টুম্পার বিয়ে হয়। দুই বছরের দাম্পত্য জীবনে তাদের ঘরে এক বছরের একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। আজাদের নির্ধারিত কোন কর্ম নেই। চৌমুহনীর গোলাবাড়ির বাজারের মুখে সামান্য সবজি বিক্রি করে বলে জানা গেছে। এদিকে অর্থলিপ্সু আজাদ বিয়ের সময় টুম্পার পরিবারের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা নেয়। এর পর মোটা অংকের যৌতুকের জন্য আজাদ টুম্পাকে বিভিন্ন সময় নির্যাতন করতো। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে টুম্পার পরিবারের সদস্যরা সাধ্যমতো আজাদকে আর্থিক সহযোগিতা করতো।শনিবার দুপুরে আজাদ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক আনার জন্য টুম্পাকে চাপ দেয়। টুম্পা বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে অপারগতা প্রকাশ করায় আজাদ ও তার পরিবারের সদস্যরা টুম্পাকে নির্যাতনের পর হত্যা করে। খবর পেয়ে বিকাল ৩ টার দিকে নিহতের পরিবারের সদস্যারা এসে দেখে টুম্পার মৃতদেহ ঘরের মেঝেতে পড়ে রয়েছে। ঘটনার পর ঘাতক আজাদও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়।খবর পেয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ গিয়ে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।নিহত গৃহবধুর পরিবারের সদস্যরা জানান, আজাদ এর আগেও তিন বিয়ে করেছে। তারা কেউ আজাদের সংসারে টিকেনি। আমরা বিষয়টি পরে জানতে পারি।এ ব্যাপারে বেগমগঞ্জ মডেল থানার ওসি সাজিদুর রহমান জানান, এই ঘটনায় এখনো থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ