অনলাইন ডেস্ক:
চিকুনগুনিয়া সম্পর্কিত যে কোনও তথ্য জানতে ও জানাতে ০১৯৩৭১১০০১১ এবং ০১৯৩৭০০০০১১ নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা।
এ ছাড়া সারাদেশে চিকুনগুনিয়া পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য পাবলিক হেল্থ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ফর চিকুনগুনিয়া (চিকুনগুনিয়া নিয়ন্ত্রণকক্ষ) প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
রাজধানীতে তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ বেড়ে গেছে। চিকুনগুনিয়া এক প্রকার ভাইরাস জ্বর। যার বাহক এডিস মশা। চিকুনগুনিয়াতে সাধারণত হাঁটু, গোড়ালি, পিঠ, হাত, ঘাড় এইসব জায়গায় ব্যথা হয়। এ ক্ষেত্রে হাড় এবং জয়েন্টে খুবই বেশি ব্যথা হয়। এমনকি জ্বর ছেড়ে যাওয়ার এক মাস পর্যন্তও জয়েন্টে ব্যথা থাকতে পারে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) জানিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ থাকতে পারে। আইইডিসিআরের পরিচালক মিরজাদি সেবরিনা জানান, গত এপ্রিল থেকে মে মাস পর্যন্ত ইনস্টিটিউটে ১৩৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৮৬টি নমুনায় চিকুনগুনিয়ার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
১৪ জুন বুধবার সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘চিকুনগুনিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। বৃষ্টি ও আবহাওয়ার উষ্ণতা বেশি হওয়ার কারণে চিকুনগুনিয়ার বাহক এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে।’
চিকুনগুনিয়া প্রতিরোধে জনসচেতনতা বাড়াতে ১৭ জুন শনিবার রাজধানীর ৯২টি এলাকায় বাড়ি বাড়ি ঘুরে ঘুরে সচেতনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল ও ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, সব ধরনের প্যারামেডিকেল ইনস্টিটিউট ও অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইনস্টিটিউট (ম্যাটস্) এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ক স্নাতকোত্তর চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা।
আর ২১ জুন বুধবার বিকালে ডিএনসিসির ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতার পর রাজধানীতে সাধারণ নাগরিক চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আমরা চিকুনগুনিয়ার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমরা প্রতি বছর বরাদ্দ বাড়াচ্ছি। কচুরিপানা, জলাশয়, পুকুর, ডোবা, লেকসহ বিভিন্ন এলাকা পরিষ্কার করছি।’
৩ জুলাই সোমবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জরুরি ভিত্তিতে আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে ‘সম্প্রতি রাজধানীতে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কিছুটা কমেছে’ বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা এবং আইইডিসিআরের পরিচালক মিরজাদি সেবরিনা।
একই অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ‘চিকুনগুনিয়া সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না বলে সিটি করপোরেশনের প্রস্তুতি ছিল না। তিনি বলেন, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যে অনুমান করা যায় যে চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ কমে আসছে। আশা করা যায় আগামী চার থেকে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
দৈনিক দেশজনতা/এমএম