স্বাস্থ্য ডেস্ক:
প্রচুর ঘাম হলে, বিরক্ত না হয়ে আপনার খুশি হওয়া উচিৎ। কারণ ঘামে আছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা। ঘাম প্রাকৃতিক একটি প্রক্রিয়া। অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম, গরম, সূর্যের তাপ বিভিন্ন কারণে শরীরে ঘাম হয়ে থাকে। অনেকের ঘামের পরিমাণ বেশি হয়ে থাকে। মস্তিষ্কের হাইপোথ্যালামাস শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ঘাম লোমকূপের ছিদ্র থেকে বের হয়ে থাকে। সাধারণত পানি এবং অ্যামোনিয়া নামক রাসায়নিক পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্টি। অনেকের কাছে ঘাম হওয়া বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর হয়ে থাকে। কিন্তু আপনি জানেন কি ঘাম হওয়া স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী? আসুন তাহলে জেনে নিন ঘাম হওয়ার উপকারিতা।
টক্সিক পর্দাথ বের করে দেয় :
ঘাম শরীর থেকে বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দেয়। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘাম দেহের অতিরিক্ত লবণ, কোলেস্টেরল এবং অ্যালকোহল বের করে দেয়। এটি মূলত আমাদের দেহ থেকে যাবতীয় বিষাক্ত পর্দাথ বের করে দেয়।
ব্রণের সমস্যা হ্রাস করে :
আপনি যখন ঘামেন, তখন ত্বকের লোম কূপ খুলে থাকে। আর ঘামের মাধ্যমে ত্বকের ময়লা, ধুলা বালি বের হয়ে থাকে। অতিরিক্ত ঘাম ত্বকের অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন, ব্যাকটেরিয়া, জীবাণু বের করে দেয়। তাই ঘাম হলে আপনার ব্রণের আশঙ্কাও কমে যাবে।
ঠাণ্ডা এবং ইনফেকশন ভালো করতে সাহায্য করে :
ঘাম দেহের অভ্যন্তরীণ ইনফেকশন দূর করতে সাহায্য করে, যা ঠাণ্ডা অথবা জ্বর জ্বর অনুভব দূর করে দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল পেপটাইড যা যক্ষা এবং অন্যান্য রোগের জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে ঘাম।
হৃদযন্ত্রের উন্নতি সাধন করে :
ঘাম হৃদযন্ত্রের উন্নতি সাধন করে থাকে। দেহ তাপের সঙ্গে ঘাম বের হয় যা হৃদযন্ত্রের অভ্যন্তরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
কিডনি পাথর দূর করে :
ঘামের সাথে প্রচুর পরিমাণে লবণ এবং ক্যালসিয়াম শরীর থেকে বের হয়ে যায়। যা কিডনি পাথর হওয়ার সম্ভাবনা দূর করে। এবং কিডনি সুস্থ রাখে।
মুডের ভালো রাখতে সাহায্য করে :
ব্যায়ামের কারণে ঘাম হয়ে থাকে। এটি শরীরের টক্সিক পর্দাথ দূর করে এবং ভালো পর্দাথ উৎপন্ন করে থাকে। যা আপনার মন ভালো রাখতে সাহায্য করে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ