নিজস্ব প্রতিবেদক :
শেষ হলো ঈদুল ফিতর। এতে গ্রাহকদের কাছ থেকে আশাতীত সাড়া পেয়েছে দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেল। এবার মার্সেলের মিশন কোরবানির ঈদ। বাংলাদেশের বাজারে সাশ্রয়ী দামে বৈচিত্র্যময় ডিজাইন ও কালারের পণ্য উৎপাদন ও বিপণন করায় এবারের রোজায় ব্যাপক বিক্রি হয়েছে মার্সেল পণ্য। ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা। চাহিদা ও বিক্রি বৃদ্ধির এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে এবার টার্গেট করা হয়েছে ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদকে। গ্রাহকদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে উচ্চমানের দুই শতাধিক মডেলের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্স বাজারজাত করছে মার্সেল। প্রোডাক্ট লাইনে যুক্ত হয়েছে ফ্রিজ, এলইডি টিভিসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স।
জানা গেছে, দেশে ফ্রিজ বিক্রির প্রধান মৌসুম হিসেবে কোরবানির ঈদকেই বিবেচনা করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। কোরবানির ঈদে মাংস সংরক্ষণের জন্য দেশজুড়ে ফ্রিজের চাহিদা ও বিক্রি ব্যাপক বেড়ে যায়। আর তাই ওই সময়ে বাড়তি চাহিদার সিংহভাগ নিজেদের দখলে নিতে মার্সেল ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
মার্সেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে বাজারে ২ শতাধিক মডেলের ইলেকট্রনিক্স ও ইলেকট্রিক্যাল হোম অ্যাপ্লায়েন্স সরবরাহ করা হচ্ছে। এর মধ্যে যুক্ত হয়েছে বেশ কিছু নতুন মডেল ও প্রযুক্তির ফ্রিজ, এলইডি টিভিসহ অন্যান্য হোম অ্যাপ্লায়েন্স। মার্সেল ফ্রিজে নতুন এসেছে ৩২০ লিটার ও ৩৪৮ লিটারের আকর্ষণীয় ডিজাইনের টেম্পারড গ্লাস ডোর রেফ্রিজারেটর। এ ছাড়া, ২৮ ইঞ্চি এলইডি টিভিতে ব্ল্যাক ও সিলভার কালারের দুটি নতুন মডেল আনা হয়েছে।
মার্সেল বিপণন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, নতুন নতুন প্রযুক্তি ও মডেলের উচ্চ গুণগত মানের পণ্য আনায় মার্সেল ব্র্যান্ডের প্রতি গ্রাহকদের আস্থা বাড়ছে। যার প্রেক্ষিতে, গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে ৭৭ শতাংশ বেশি এলইডি টিভি বিক্রি হয়েছে। বেড়েছে ফ্রিজসহ এসি ও অন্যান্য হোম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্সের বিক্রিও। তাই, এবার কোরবানির ঈদে গতবারের চেয়ে প্রায় ৩০ শতাংশ বেশি পণ্য বিক্রির টার্গেট নিয়েছে মার্সেল। কোরবানির ঈদে গ্রাহকদের হাতে উচ্চমানের ফ্রস্ট, নন-ফ্রস্ট ও ডিপ ফ্রিজ তুলে দিতে ইতোমধ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে মার্সেল। নিজস্ব কারখানায় বাড়ানো হয়েছে উৎপাদন।
জানা গেছে, মার্সেলের ২১৭ লিটারের ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ইন্টেলিজেন্ট ইনভার্টার প্রযুক্তির নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ বাজারে ভালো সাড়া ফেলেছে। বিশেষ ডিজাইনে তৈরি বড় ডিপ যুক্ত ২১৩ লিটার ও ২২০ লিটারের ফ্রস্ট ফ্রিজও ভালো চলছে। এর ডিপ অংশ বড় হওয়ায় গ্রাহকদের আলাদা করে ডিপ ফ্রিজ কিনতে হবে না। তাই, গ্রাহক পর্যায়ে এই ফ্রিজের চাহিদা অনেক বেশি। এ ছাড়া বাজারে নতুন আসা মার্সেলের স্পেশাল পণ্য টেম্পারড গ্লাস ডোরের রেফ্রিজারেটর ও ৩০০ লিটারের ডিপ ফ্রিজ ‘হট কেক’ এ পরিণত হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ মার্সেল কর্মকর্তাদের।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (উত্তর) প্রধান মোশারফ হোসেন রাজীব বলেন, ‘বিশেষ কিছু কারণে মার্সেল পণ্যের বিক্রি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ছে। এর মধ্যে রয়েছে- দামে সাশ্রয়ী উচ্চমানের মার্সেল পণ্য দেশেই তৈরি, মানুষের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নতি, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং মানুষের মধ্যে ক্রয় প্রবণতা বৃদ্ধি।
মার্সেল বিপণন বিভাগের (দক্ষিণ) প্রধান ড. মো. শাখাওয়াৎ হোসেন বলেন, ‘ঈদে ডিপ ফ্রিজ, সাধারণ ফ্রিজ এবং টেলিভিশনের চাহিদা থাকে বেশি। বাড়তি চাহিদার বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মার্সেল। ক্রেতাদের চাহিদা পূরণে পর্যাপ্ত মজুদ গড়ে তোলা হয়েছে।’
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ