নিজস্ব প্রতিবেদক:
আরব দেশগুলোর দাবি মানবে না কাতার। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মেদ বিন আব্দুল-রাহমান বিন জাসিম আল থানি বলেছেন, আরব রাষ্ট্রগুলোর দেয়া দাবির তালিকা তার দেশ বাতিল করে দিয়েছে। খবর বিবিসির। তবে তিনি এও জানিয়েছেন সঠিক শর্তের ভিত্তিতে কাতার আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে। জাসিম আল থানি বলেছেন, কাতার তার সার্বভৌমত্বকে লঙ্ঘন করে এমন কোন কিছুই গ্রহণ করবে না। এর আগে আরব বিশ্বের চারটি দেশ কাতারের কাছে তাদের ১৩টি দাবির একটি তালিকা পাঠিয়ে বলেছিল এগুলো না মানলে তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা যাবে না। সৌদি আরব, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং বাহরাইন কাতারের কাছে দাবি জানিয়েছিল, আল জাজিরার সম্প্রচার বন্ধ করতে হবে। তারা কাতারের কাছে আরও দাবি জানিয়েছে ইরানের সঙ্গে তাদের যোগাযোগ সীমিত করতে হবে এবং তুরস্কে তাদের সেনা ঘাঁটি বন্ধ করতে হবে। এসব দাবি পূরণের জন্য কাতারকে ১০ দিন সময় দেয়া হয়েছে। এই দশদিন শেষ হওয়ার আর মাত্র দুই দিন বাকি আছে। এর মধ্যেই কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এমন বক্তব্য নতুন করে উত্তেজনা তৈরি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে ঠিক কী হতে চলেছে তা নিয়েও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাতারের ওপর নজিরবিহীন কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। কয়েক দশকের মধ্যে উপসাগরীয় দেশগুলোতে এটা সবচেয়ে বড় ধরনের রাজনৈতিক সঙ্কট। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বলেছেন, তার দেশ কোন বিদেশি নির্দেশনা মানবে না এবং আল জাজিরা চ্যানেল সংক্রান্ত কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে না কারণ এটা দেশটির অভ্যন্তরীণ একটি বিষয়। তুর্কি সামরিক ঘাঁটি বন্ধ করে দেয়াসহ আরও যেসব দাবি সৌদি আরব এবং অন্যরা তুলেছে, কাতার যে তা মানবে তার কোন সম্ভাবনাই নেই। তুরস্ক ইতোমধ্যে তাদের সামরিক ঘাঁটি বন্ধের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ