নিজস্ব প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগ দেশে ভোটের প্রচারের ‘একতরফা রাজনীতি’ চালু করেছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান দুদু ১৯৭০ সালের নির্বাচনের কথা স্মরণ করতে বলেছেন ক্ষমতাসীনদের
রোববার এক মানববন্ধন কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমি শেখ হাসিনাকে বলব, এমন সময় আসবে, রাজনীতির মেরুকরণে আপনি বাদে জাতীয় ঐক্য যেটা বোঝায়, সকল দল আওয়ামী লীগের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ১৯৭০ সালের মতো নির্বাচন করবে।
“আপনি যদি গোপালগঞ্জের বাইরে কোনো আসনে তখন জয়লাভ করেন, তাহলে বুঝব আপনার জনপ্রিয়তা আছে।”
অধিকারের দাবিতে বাঙালির আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৭০ সালের নির্বাচনে দুই পাকিস্তান মিলিয়ে ৩০০ আসনের মধ্যে ১৬০টি আসন জিতে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় আওয়ামী লীগ। প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টি পায়।
কিন্তু সর্বশেষ ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ১৫৪টি আসন ‘জবরদখল করেছিল’ বলে অভিযোগ করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান দুদু।
বিএনপির বর্জনের মধ্যে ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মত ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ১৫৪টি আসনে প্রার্থীরা নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।
সরকারের তিন বছর পেরিয়ে যাওয়ায় এখন থেকেই পরবর্তী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় গিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের জনসভায় শেখ হাসিনা আগামী নির্বাচনেও নৌকায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। শনিবার কক্সবাজারে গিয়েও তিনি একই কথা বলেন।
এর সমালোচনা করে দুদু বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ঢাকার বাইরে গিয়ে সমাবেশ করছেন এবং নৌকা মার্কায় ভোট চাইছেন। শুধু নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়া যাবে, ধানের শীষে ভোট চাওয়া যাবে না, লাঙ্গলে ভোট চাওয়া যাবে না, অন্য প্রতীকে ভোট চাওয়া যাবে না… এটা তো কোনো রাজনীতি হতে পারে না। তারা এই রাজনীতি চালু করেছে।”
তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ফেরানোর দাবিতে দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির এই নেতা দাবি করেন, আগামী একাদশ জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ‘সহায়ক সরকারের বিকল্প নেই’।
“দলীয় সরকারের অধীনে এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এই পর্যন্ত হয় নাই, আগামী দিনেও হবে না। আমরা পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, সংবিধান দেখিয়ে লাভ নাই। সকল দল অংশগ্রহণ করতে পারে, সবাই নির্বিঘ্নে ভোটের প্রচার করতে পারে- সেই ব্যবস্থা করতে হবে।”
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানবন্ধনের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল।
সংগঠনটির সভাপতি হুমায়ুন কবীর খোকনের সভাপতিত্বে বিএনপির এ বিএম মোশাররফ হোসেন, জাগপার সাধারণ সম্পাদক খোন্দকার লুৎফর রহমান, ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এ বি এম মোশাররফ হোসেন এ কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন।
এম এম