আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন ধরে উপস্থিতি ছিল মার্কিন সেনার। পরবর্তী সময়ে সেখান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার করে নেয়া হলেও তা অনেক দ্রুত করা হয়েছে। ব্রাসেলসে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এরকম মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস। খবর বিবিসির।তবে, ন্যাটো মহাসচিবের মতে, আফগানিস্তান থেকে আরও আগে সেনা প্রত্যাহার করা নেয়া উচিত ছিল। আফগানিস্তানে ২০১১ সালে মার্কিন সেনার সংখ্যা দাঁড়ায় এক লাখ ৩০ হাজারে। সেখানে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমিয়ে আনা হয় ২০১৪ সালে। বর্তমানে দেশটিতে সাড়ে ১৩ হাজার ন্যাটো সৈন্য রয়েছে। জেমস ম্যাটিস বলেন, অতীত ঘেঁটে দেখলে সবাই একমত হবেন যে, সেখান থেকে অনেক দ্রুত আমরা সেনা প্রত্যাহার করে নিয়েছি। অবশ্য আগেই অনেক সৈন্য সেখান থেকে কমিয়ে এনেছিলাম।তার বিপরীতে ন্যাটো মহাসচিব স্টলটেনবার্গ বলছেন, ২০১৪ সালে এটা বন্ধ করা উচিত ছিল। সম্ভব হলে তারও আগে এটা করা দরকার ছিল। এই মধ্যে কূটনৈতিক ও মার্কিন সূত্র আভাস দিয়েছে তালেবান জঙ্গি ও ইসলামিক স্টেটের (আইএস) আফগান শাখাকে প্রতিরোধ করতে আফগানিস্তানে মার্কিন সেনার সংখ্যা তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে। এ ব্যাপারে ম্যাটিস বলেন, যুদ্ধের সময়সীমা নির্দিষ্ট করে বলা যায় না। এটা অনিশ্চিত ঘটনা। মূল কথা হচ্ছে, ন্যাটো আফগানিস্তানকে ভীতি ও সন্ত্রাস থেকে মুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। আর সন্ত্রাস থেকে মুক্তি দেয়া মানে এটি অসমাপ্ত রাখা যাবে না। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর থেকে আফগানিস্তানে সংঘাত চলছে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের দায়িত্ব আফগান সেনাবাহিনীর ঘাড়ে পড়েছে ২০১৪ সালের শেষের দিকে এসে। এতোকিছুর পরেও আপগানিস্তানের সংঘাতময় পরিস্থিতির কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সাম্প্রতিক সময়ে আফগানিস্তানে অসংখ্য সহিংস হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রাজধানী কাবুলে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় দেড়শর বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ