বিজ্ঞান ও প্রযক্তি ডেস্ক:
সেক্স টয়, পুতুল বা যৌন রোবটের চাহিদা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। মানুষ জীবনসঙ্গী হিসেবে বেঁছে নিচ্ছে এই ‘যান্ত্রিক মানুষ’ তথা ‘পুতুল’। পাশের দেশের দিল্লি, মুম্বাইয়ে অনেকদিন আগেই সেক্স টয় ব্যবহারে স্মার্ট সিটি হলেও বাংলাদেশে অল্প দিনেই দ্রুত এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের কুপন ওয়েবসাইট ভাউচার ক্লাউড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সার্চ করা বিভিন্ন জিনিসের মধ্যে সেক্স টয় খোঁজার সংখ্যার উপর ভিত্তি করে একটি র্যাংকিং প্রকাশ করায় এর প্রমাণ মিলেছে। কেননা, প্রকাশিত ওই র্যাংকিংয়ে সারা বিশ্বের মধ্যে ১৪০তম অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। আর এ তালিকায় প্রথম স্থানে আছে ডেনমার্ক, সুইডেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রিনল্যান্ড।
সম্প্রতি প্রকাশিত ওই র্যাংকিং করতে গিয়ে ভাউচার ক্লাউড প্রথমে সেক্স টয়ের ১৮টি কিওয়ার্ড’কে বেঁছে নিয়ে সবগুলোকে বিভিন্ন ভাষায় (যেসব ভাষায় গুগলে সার্চ করা যায়) অনুবাদ করে। এরপর ওই শব্দগুলোতে কোন দেশ থেকে কতোবার সার্চ হয়েছে সে সংখ্যা থেকে র্যাংকিং প্রকাশ করে। ভাউচার ক্লাউডের বেঁছে নেওয়া শব্দগুলো হলো, সেক্স টয়, ডিডলো, ভাইব্রেটর, কক রিং, স্ট্রাপ-অন, লুব্রিকেন্ট, অ্যানাল বেডস, প্লেজার রিং, সেক্স সুইং, সেক্স মেশিন, হ্যান্ডকাফস, বাট প্লাগস, ব্ল-আপ ডল, লাভ ইগ, সেক্সি কস্টিউমস, অ্যানাল টয়, জিগল বলস, ব্লন্ডেজ টযস।
শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, ২০৫০ সালের মধ্যে যৌনসঙ্গী হিসেবে রোবটকে বেছে নেওয়ার হার অনেক বেড়ে যাবে। এতে সমাজের স্বাভাবিক ভারসাম্য নষ্ট হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ