তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর জঙ্গি দমনে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। জঙ্গি দমনে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ আজ ‘রোল মডেল’ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
বুধবার জাতীয় সংসদে গোলাম দস্তগীর গাজীর এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
জঙ্গি দমনে বর্তমান সরকারের নানা সফলতার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে শীর্ষস্থানীয় জঙ্গিনেতাসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সদস্য গ্রেফতার ও নিহতসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়। হলি আর্টিজান হামলার পর এ যাবৎ যতগুলো অপারেশন পরিচালিত হয়েছে তার সবগুলো থেকেই জঙ্গিগোষ্ঠি আঘাত হানার পূর্বেই আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের পরিকল্পনা নস্যাত করে দিয়েছে। জঙ্গি দমনে বাংলাদেশ প্রো-অ্যাক্টিভ পুলিশিংয়ের একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
তিনি বলেন, অভিযানসমূহ পরিচালনার ফলে বর্তমানে জঙ্গি তৎপরতা বহুলাংশে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। এ সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জল করেছে।
জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট গঠন, জঙ্গি-সন্ত্রাস বিরোধী প্রচারণাসহ তার সরকারের নেয়া নানা উদ্যোগের কথাও এ সময় তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণের পথে বাংলাদেশ জাতিসংঘ নির্ধারিত তিনটি সূচকের মধ্যে দু’টির প্রারম্ভ রেখা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্য আয়ের দেশে উত্তরণ ও স্থিতিশীল হতে জাতিসংঘ তিনটি সূচক বিবেচনা করে থাকে। এগুলো হলো— মাথাপিছু জাতীয় আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা।
তিনি বলেন, এর মধ্যে বাংলাদেশ মাথাপিছু জাতীয় আয় ও অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে প্ররম্ভ রেখা (থ্রেশহোল্ড) অতিক্রম করেছে। আর মানবসম্পদ উন্নয়নেও প্রারম্ভ রেখার বেশ কাছাকাছি অবস্থানে রয়েছে।