২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৮:২২

কমেছে গরুর মাংসের বিক্রি তাই দাম একটু কম

নিজস্ব প্রতিবেদক:

এবার ঈদে অন্যবাদের চেয়ে গরুর মাংস কম বিক্রি হয়েছে। আর ঈদের ও পরের দিন গরুর মাংস বিক্রি আরও কম হয়েছে। যা অন্যবারের চেয়ে  অনেক কম।মঙ্গলবার সকাল ও বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মগবাজার, কাটাবন, উত্তর বাড্ডাসহ কয়েকটি মার্কেট এবং কয়েকটি অঞ্চলের পাড়া-মহল্লার দোকান ঘুরে গরুর মাংস বিক্রি কম হয়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। গরুর মাংস কেজিপ্রতি সাড়ে পাঁচশ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কারওয়ান বাজারে যেখানে নিয়মিত ৩৫ থেকে ৪৫টি গরু জবাই হয় সেখানে ঈদের দিন তার চেয়ে অনেক কম গরু জবাই হয়েছে। ঈদের পরের দিন মঙ্গলবার কারওয়ান বাজারে সব মাংসের দোকানই বন্ধ ছিল। সোম ও মঙ্গলবার দুইদিন গরু কম জবাই করলেও মাংসের দাম বাড়েনি। একই চিত্র দেখা গেছে, মগবাজার চারুলতা মার্কেটের সামনের ছয়টি মাংসের দোকানো । ঈদের আগের দিন (চাঁদ রাতে) চারটি গরু জবাই হলেও ঈদের দিন কোনো গরু জবাই করা হয়নি। তবে, মঙ্গলবার সকালে একটি গরু জবাই করা হয়েছে। গরু কম জবাই করার কারণ কী জানতে চাইলে  রানা হাসান  বলেন, এবার সবাই মনে করেছিল ঈদের সময় গরুর মাংসের দাম বাড়তে পারে। তাই রমজান মাসের তুলনায় ঈদের পরে গরুর মাংসের কাস্টমার কমে গেছে।, রমজান মাসে গরুর মাংস বেশি বিক্রি হয়েছে। রমজান মাসে রাজধানীজুড়ে মাংসের দাম পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচশ’ টাকা, কোথাও বা তার থেকে কম-বেশি দরে বিক্রি হয়েছে। রাজধানীর শপিং মল ‘সপ্ন’ ও ‘আগোরাতে’ ঘুরেও দেখা গেছে, গরুর মাংসের বিক্রি কম। ‘সপ্ন’ ও ‘আগোরা’ তে পাঁচশ’ ১০ টাকা কেজি গরুর মাংস। কারওয়ান বাজারের মুরগির দোকানদার আল আমিন মনু খান জানান, অন্য বছর ঈদের দিন বা তার পরের দিন মুরগির দাম বাড়লেও এবার দাম একটু কমেছে।

তিনি বলেন, চাঁদরাতের আগের বিকেলে মুরগি আমদানি কম হওয়াই পাইকারি আড়ৎদাররা দাম হাকিয়েছেন বেশি। আমরাও বেশিতে কিনে ধরা খাইছি। কিন্তু ঈদের দিন সকালে হঠাৎ মুরগির আমদানি বেড়ে যাওয়াই দাম কিছুটা কমে গেছে। তিনি জানান, মুরগি এখন অল্প লাভে বিক্রি করতে হচ্ছে। নিউ ইস্কাটনের দিলু রোডের মাংস দোকানদার  রিপন জানান, গরুর মাংস সাড়ে পাঁশ টাকা কেজিতে বিক্রি করছি। ঈদের আগের দিন আটটি গরু জবাই করেছিলাম। ঈদের দিন কোকো গরু জবাই করিনি। ভিন্ন খবর মিলছে এই দোকানদারের কাছে। ঈদের পরের দিন (মঙ্গলবার) চারটি গরু জবাই করেছেন তিনি। তবে, মাংক বিক্রি শেষ হয়নি। বাড্ডা হোসেন মার্কেটের পেছনে ‘হালাল গোস্ত বিতান’ এর কর্ণদার মেহের হোসেন  জানান, ঈদের আগের দিন আটটি গরু জবাই করেছিলাম। ঈদের দিন কোনো গরু জবাই দেইনি। তবে, মঙ্গলবার চারটি গরু জবাই করেছেন। বিকেল পর্যন্ত মাংস বিক্রি শেষ হয়নি। তিনি বলেন, আমার মনে হয় এবারের ঈদে মানুষ গরুর মাংস একটু কম খেয়েছে।

দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ

 

প্রকাশ :জুন ২৮, ২০১৭ ১২:০৭ অপরাহ্ণ