নিজস্ব প্রতিবেদক:
বর্ষাকালে সাগর তার পূর্ণ যৌবন লাভ করে। বৃষ্টি আর শীতল বাতাসের সাথে উত্তাল সাগরের ঢেউ মিলে সমুদ্র সৈকত ফিরে পায় তার তারুণ্য।পূর্ণ যৌবন আর তারুণ্যে ঘেরা বর্ষাকালের সাগর পাড়ের প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য যে কারো মনকে চাঙ্গা করে দেয়। বর্ষায় বৃষ্টির পানিতে ছোটবড় অসংখ্য পাহাড়ি ঝর্ণা হয়ে উঠে দৃষ্টি নন্দন। এইবারের ঈদে বর্ষার অপরূপ সৌন্দর্য্যের কক্সবাজার অপেক্ষা করছে পর্যটকদের জন্য। আর সদ্য উদ্বোধন হওয়া পাহাড় আর সাগরের মাঝে মেরিন ড্রাইভ রোডের লং-ড্রাইভ পর্যটকদের কক্সবাজার ভ্রমণকে করবে আরো আনন্দময়।
বর্ষার প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য দেখার জন্য পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটন নগরী কক্সবাজার। বর্ষার সৌন্দর্য দেখতে ঈদের ছুটিতে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামবে বলে আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। হোটেল-মোটেলগুলোকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। বৃষ্টিভেজা সাগর পাড়ের বালিয়াড়িতে আনন্দে মেতে উঠতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভ্রমণ পিপাসুরা ইতিমধ্যে কক্সবাজারের হোটেল-মোটেল বুকিং দিয়েছেন। পর্যটকদের ব্যাপক সাড়া পাওয়ার কথা জানিয়ে কক্সবাজার হোটেল মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, কক্সবাজারের সব হোটেল নতুনভাবে সাজানো হয়েছে। এবার আশানুরূপ বুকিং পাওয়া গেছে। ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার দেখার জন্য রেকর্ড সংখ্যক পর্যটক আসবে।
কক্সবাজারের ট্যুরিস্ট পুলিশের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হান কাজেমি পরিবর্তন ডটকমকে জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবার ৩ স্থরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়েছে। কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত, হিমছড়ি ও ইনানীতে সার্বক্ষণিক ট্যুরিস্ট পুলিশের টহল থাকবে বলেও জানান তিনি।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আলী হোসেন পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, ‘ঈদের ছুটি কাটাতে এবার বিপুলসংখ্যক পর্যটক কক্সবাজার আসবেন। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করব পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা দিতে। হোটেল-মোটেলে কেউ যেন বেশি ভাড়া আদায় করতে না পারে, সে জন্যও থাকবে বিশেষ টিম।’ কক্সবাজারে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউস রয়েছে সাড়ে চার শতাধিক। পর্যটক ধারণ ক্ষমতা দুই লাখের কাছাকাছি।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ