নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদ উদ্যাপনের সঙ্গে পাঞ্জাবির একটা মিল খোঁজে অনেকেই। এমনিতেই সুন্দর একটি পোশাক, তার ওপর আবার ধর্মীয় একটা অবয়ব। দুইয়ে মিলেই হয়তো বেশি জনপ্রিয় হয়েছে এই পোশাক। হাল ফ্যাশন লম্বা ঝুলের পাঞ্জাবি। আর এ ধরনের পাঞ্জাবির অধিকাংশ আমাদের দেশেই তৈরি হয়। দেশের ভেতরেই বেশ কিছু ব্র্যান্ড পাঞ্জাবির জন্য আলাদাভাবে পরিচিতি পেয়েছে। আব ঈদের কেনাকাটার শেষ ভাগে এসে ছেলেদের পোশাকে সবচেয়ে বেশি চাহিদা তৈরি হয় পাঞ্জাবিতে।
চলতি ঈদ বাজারে দেশাল, নিপুণ, নাগরদোলা, রং, বাংলার মেলা, বিবিআনা, সাদাকালো, অঞ্জনস, প্রবর্তনা, কে-ক্র্যাফট, অতঃপর, নিত্যউপহারসহ আরো বেশ কিছু দেশি ব্র্যান্ড পাঞ্জাবির জমজমাট ব্যবসা করছে। ইউনিক ডিজাইন, মানসম্মত কাপড়, নাগালের মধ্যে দাম থাকার কারণেই দেশি পাঞ্জাবিগুলো বেশি ক্রেতা টানছে বলে জানালেন দোকানিরা।
দেশি ব্র্যান্ডের কয়েকটি শোরুমের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এ বছর গরম বেশি হওয়ার কারণে সুতি কাপড়ের চাহিদা বেশি। সুতি কাপড়ের ওপর প্রিন্টের নকশা, এমব্রয়ডারি, কারচুপির কাজ করা পাঞ্জাবিগুলো বেশি চলছে।
আজিজ সুপারমার্কেটের অতঃপর ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী রানা আহমেদ বলেন, গরম বেশি পড়ার কারণে সুতি কাপড়ের পাঞ্জাবির চাহিদা বেড়েছে। প্রিন্ট বা এমব্রয়ডারি প্রচুর বিক্রি হচ্ছে। এখানে মূলত এক হাজার থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকার মধ্যেই অধিকাংশ পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে। আমরা প্রতিটি প্রতিষ্ঠান নিজেদের মতো করে পণ্যগুলোর ডিজাইন করি বলেই হয়তো এত বেশি চাহিদা। আর দেশি ব্র্যান্ডে তরুণদের আস্থা থাকাটা একটা বড় প্রাপ্তির বিষয়।
রাজধানীর পান্থপথে দেশের সবচেয়ে জাঁকজমকপূর্ণ শপিং মল বসুন্ধরা সিটিতে দেশী দশের শোরুমে পাঞ্জাবি কিনছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । কথায় কথায় জানালেন দেশি ব্র্যান্ডে তাঁর আস্থার কথা। বললেন, ‘দেখুন, এই পাঞ্জাবিগুলো অসাধারণ। এর বাইরে আসলে অন্য কিছু চিন্তা করার দরকার হয় না। আর দেশি ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবিগুলো ব্যবহার করে আমি মোটেও অখুশি নই। ’
শাহবাগে বিশেষত তরুণদের জনপ্রিয় শপিং মল আজিজ সুপারমার্কেটে একটি দোকানে পাঞ্জাবি দেখছিলেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাব্বির বললেন, আমাদের দেশি ব্র্যান্ডের তো অভাব নেই। পাঞ্জাবিগুলোর বেশ স্বকীয়তা রয়েছে। প্রতিবছরই আমি দেশি যেকোনো একটি ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি কিনি। এবারও দেখেশুনে এখান থেকেই একটা কিনে নেব। ’
উদয় ও আরিফের মতো অধিকাংশ তরুণই পাঞ্জাবিতে দেশি ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দিচ্ছে। আরো বেশ কয়েকজন তরুণের সঙ্গে কথা হলো। প্রায় সবার মন্তব্য একই ধরনের প্রতিবছর রোজার ঈদের আগে একটি নতুন পাঞ্জাবি চাই-ই চাই। আর এক বছর আগের পাঞ্জাবিতে ঈদটা ঠিক জমে না। কারণ প্রতিবছরই দেশি ব্র্যান্ডগুলো নতুন নতুন ডিজাইন, কালার কম্বিনেশনের পাঞ্জাবি বাজারে ছাড়ে। সুতরাং নতুন একটা পাঞ্জাবি না হলে নয়। আর দামটা মোটামুটি নাগালে থাকায় দেশি ব্র্যান্ডেই আস্থা রাখি।
দৈনিক দেশজনতা /এমএইচ