দেশ জনতা ডেস্ক:
মামলার শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে আজ রোববার দুপুরে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় পেপারবুক এসে পৌঁছায়।
দুটি মামলায় পেপারবুকের পৃষ্ঠাসংখ্যা ছয় হাজার। সঙ্গে রয়েছে দুই মামলায় দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলও। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানায়, বিচারিক আদালতের রায়ের পর প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দুই মামলার পেপারবুক প্রস্তুত করতে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখাকে প্রধান বিচারপতি নির্দেশ দেন। এই অনুসারে চলতি বছরের মার্চ মাসের শেষদিকে পেপারবুক প্রস্তুত করে সরকারি ছাপাখানায় পাঠানো হয়। এগুলো ছাপা হয়ে আজ উচ্চ আদালতে এসে পৌঁছায়।
আইনজীবীরা বলেন, নিম্ন আদালতে কোনো আসামির মৃত্যুদণ্ড হলে তা কার্যকরে হাইকোর্টের অনুমতি লাগে। এটি ডেথ রেফারেন্স মামলা হিসেবে পরিচিত। এর পাশাপাশি দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা নির্ধারিত সময়ে আপিলও করতে পারেন। এই ডেথ রেফারেন্স শুনানির পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে পেপারবুক করতে হয়। পেপারবুকে মামলার এজাহার, রায়, চার্জশিট, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন, জবানবন্দি পর্যায়ক্রমে সাজানো থাকে।
নারায়ণগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলায় ২৬ আসামিকে ১৬ জানুয়ারি মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছেন ২৩ জন। তাঁদের মধ্যে ১৭ জন র্যাবের সদস্য। মামলার শুরু থেকেই র্যাবের সাবেক ৮ সদস্যসহ ১২ আসামি পলাতক।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে অপহৃত হন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকারসহ সাতজন। তিন দিন পর ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদীতে একে একে ভেসে ওঠে ছয়টি লাশ, পরদিন মেলে আরেকটি লাশ। নিহত বাকিরা হলেন নজরুলের বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন, গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম ও চন্দন সরকারের গাড়িচালক মো. ইব্রাহীম।
Daily Deshjanata দেশ ও জনতার বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর

