২১শে নভেম্বর, ২০২৪ ইং | ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | রাত ৯:১২

রবিউলের কাছে হারল রাজ্জাক

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিকেএসপিতে কাল শেখ জামাল ধানমন্ডি-খেলাঘরের ম্যাচের মোড়কে লড়াইটা হয়েছে আসলে আবদুর রাজ্জাক আর রবিউল ইসলামের মধ্যে। একজন এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি, আরেকজন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। শেষ পর্যন্ত রবিউলের কাছে হার মানতে হয়েছে রাজ্জাককে। শেখ জামালকে ২০ রানে হারিয়েছে প্রথম বিভাগ থেকে প্রিমিয়ার লিগে উন্নীত হওয়া খেলাঘর।

জয়ের ধারা ধরে রেখেছে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স। বিকেএসপিরই অন্য মাঠে ব্রাদার্সকে কাল তারা হারিয়েছে ১০ রানে। আর হারের বৃত্তে আটকা পড়া কলাবাগান ক্রীড়াচক্র ফতুল্লায় পারটেক্সের কাছে হেরেছে ৬২ রানে।

এই ম্যাচের আগে ৬ ম্যাচে ১৬ উইকেট নিয়ে সবার ওপরে ছিলেন রাজ্জাক। সমান ম্যাচে ২৯৩ রান করে চূড়াতে ছিলেন রবিউলও। দুই সেরার জমাট লড়াই দেখেছে বিকেএসপি। খেলাঘরকে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার রবিউল-সালাউদ্দিন পাপ্পু, ওপেনিং জুটিটা ছিল ৮৩ রানের। ৪৬ রান করা পাপ্পুকে বোল্ড করে জুটি ভাঙেন রাজ্জাক। ১৩ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া খেলাঘরকে টেনে তুলেছেন অমিত মজুমদার ও রবিউল, তৃতীয় উইকেটে ১২৬ রানের জুটি গড়েছেন তাঁরা। এই দুজনকেই ফিরিয়েছেন রাজ্জাক, অমিতকে আউট করেন ৫৮ রানে। তবে ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনারের শিকার হওয়ার আগে সেঞ্চুরি করেছেন রবিউল। ৫২ রানে রাজ্জাক নিয়েছেন ৫ উইকেট।

২৬৭ রান তাড়া করতে নামা শেখ জামালের জয়ের আশাটা উজ্জ্বল করে জিয়াউর রহমান-রাজিন সালেহর ১০৮ রানের পঞ্চম উইকেট জুটি। ৬২ বলে ৭৫ রান করা জিয়া রানআউটে কাটা পড়াতেই বড় ধাক্কা খায় তাদের জয়ের স্বপ্ন। শেষ দিকে রাজ্জাক যা একটু আশা দিয়েছিলেন, কিন্তু রান নিতে গিয়ে চোটে পড়ে চলে আসেন মাঠের বাইরে, পরে তো হাসপাতালেই যেতে হয়েছে তাঁকে। তবু ২ উইকেট হাতে রেখে ১৮ বলে ২২ রানের সমীকরণটা কঠিন ছিল না। থিতু হয়ে যাওয়া রাজিন তখনো উইকেটে। ৩ রানের মধ্যে শেষ ২ উইকেট হারিয়ে ফেলায় শেষ পর্যন্ত শেখ জামালকে মেনে নিতে হয়েছে পরাজয়।

কালকের হার সত্ত্বেও সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির (২১) জায়গাটা ধরে রেখেছেন রাজ্জাক। ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার ওপরে জয়ী দলের রবিউল (৩৯৬)। রাজ্জাকদের হারিয়ে খুশি হলেও রবিউলের তৃপ্তি অন্য জায়গায়, ‘প্রিমিয়ার লিগ এত দিন পারফরম্যান্স ছিল গড়পড়তা। এবারই ধারাবাহিক ভালো খেলছি। জানি একটি-দুটি সেঞ্চুরি করলে হবে না। আমাকে আরও ভালো খেলতে হবে।’

বিকেএসপির আরেক মাঠে আবারও নড়বড়ে নব্বইয়ের শিকার এনামুল হক। আবাহনীর বিপক্ষে ৯৭ রান করা গাজীর ওপেনার কাল ব্রাদার্সের বিপক্ষে আউট ৯৩ রানে। ৪৮.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে গাজীর স্কোর ২৩৬। বাঁহাতি পেসার আবু হায়দারের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ব্রাদার্স লক্ষ্যটা পেরোতে পারেনি। ৪৮.৫ ওভারে তারা অলআউট ২২৬ রানে।

কলাবাগান কাল হারল ষষ্ঠ ম্যাচ। পারটেক্সের দেওয়া ২৭৯ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে আশরাফুল-তুষারদের দল ইমরানের বোলিং তোপের (৫/৪২) মুখে ৪৬.১ ওভারে অলআউট ২১৬ রানে।

প্রকাশ :মে ৭, ২০১৭ ১১:২২ পূর্বাহ্ণ