নিজস্ব প্রতিবেদক: অপপ্রচার মোকাবেলা ও তরুণদের কাছে টানতে সরকারের উন্নয়ন কাজের প্রচারে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংসদ সদস্যদের সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।
‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সংসদ সদস্যদের করণীয়’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
কর্মশালায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘দুর্নীতি করেছে বিএনপি, সন্ত্রাস করেছে জামায়াত। আর এখন তারা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এই অপপ্রচার মোকাবেলায় প্রচারণা বাড়াতে হবে আমাদের।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের তরুণরা কিন্তু এখন আর খবরের কাগজ পড়ে না। খবরের কাগজে শুধু আমাদের ওই সুশীল বাবুদের মতামতই দেখা যায়। তরুণরা ওটা পাত্তা দেয় না। তরুণরা টেলিভিশনটাই বেশি দেখে। তবে সবচেয়ে বেশি খবর তারা পায় সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। সে কারণে আমাদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে যদি আমাদের প্রচার রাখতে পারি, তাহলে তরুণ ভোটাররাও আওয়ামী লীগের ভোটার হয়ে থাকবে।’
জয় বলেন, ‘২০১৩ সালে আমি যখন আওয়ামী লীগের প্রচারে নামি, তার আগে থেকেই তারা (বিএনপি) বলে আসছে ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে, সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আমরা (আওয়ামী সরকার) এত কাজ করেছি, মানুষের আয় দ্বিগুণ করেছি, ৩২ কোটি স্কুলে বই বিতরণ করেছি, ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন করেছি, পদ্মা সেতুর কাজ শুরু করে দিয়েছি তারপরেও ব্যর্থ হয়েছে, ব্যর্থ হয়েছে বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘শুধু কাজ করলে হবে না, মানুষকে জানিয়ে দিতে হবে আমরা কি করছি, আওয়ামী লীগ কি করছে? বিদ্যুৎ কেন্দ্র নিজে নিজে বানায় না, পদ্মা সেতু নিজে নিজে বানাচ্ছে না। এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের সিদ্ধান্তে হচ্ছে। আমরা এটার টাকা জোগাড় করে দিয়েছি, আমরা পরিশ্রম করছি।’
প্রধানমন্ত্রীর এ উপদেষ্টা বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারকে মোকাবেলা করতে হলে নিজেরকে প্রচার করে যেতে হবে। আমাদের মধ্যে সিনিয়র যারা আছেন তারা মানুষের সামনে কথা বলতে, নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পান। এটা স্বাভাবিক। যারা সৎ মানুষ তারা সব সময় নিজের ঢোল পেটাতে লজ্জা পায়। যারা ফাঁকিবাজ-টাউট তারা নিজেদের ঢোল পেটাতে খুব পারে। কিছু না করেই তারা ঢোল পেটায়- এতকিছু করে ফেলেছি। তবে সেই লজ্জা পেলে কিন্তু হবে না। আমাদের জোর গলায় বলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার সেটা মোকাবেলা করতে হবে। আমরা কি করছি, সেটা বার বার বলতে হবে।’
এদিন কর্মশালায় অন্তত ৫০ জন সংসদ সদস্য অংশ নিয়েছেন। আগামী দু’দিনে আরও শতাধিক সংসদ সদস্যের এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয়ার কথা রয়েছে।