নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় ঈদে ঘরমুখো মানুষ নিবিঘ্নে বাড়ি ফেরা নিশ্চিত করতে শিমুলিয়া ফেরি ঘাটকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম। এ লক্ষে ঐ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য।
এ দিকে পণ্যবাহী যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগে পড়েছেন নৌ-রুটের যাত্রীরা। বুধবার সকালে থেকে ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ বেড়ে যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্যবাহি যানবাহনগুলো পৌঁছাতে না পারায় বিপাকে পড়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে পণ্যবাহী যানবাহনের দীর্ঘ সারি বাড়তে শুরু করেছে।
বিআইডব্লিউটিসি এর ব্যবস্থাপক(বাণিজ্য) আব্দুল আলিম জনান, ইতিমধ্যে ঈদকে সামনে রেখে নতুন দুইটি ফেরিসহ ১৯টি ফেরি চলাচল করছে। আগে আড়াই ঘণ্টা সময় লাগলেও এখন এক থেকে দেড় ঘণ্টা পারাপারে সময় নিচ্ছে। ৫ শতাধিক যানবাহন ঘাটে অবস্থান করতে দেখা গেছে। যাত্রীবাহী যানবাহনগুলোকে আগে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যার কারণে পণ্যবাহী যানবাহনের সংখ্যা বেশি।
জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম জানান, বুধবার বেলা ১২টার দিকে শিমুলিয়া ঘাট এলাকায় জেলা পুলিশের উদ্যোগে শিমুলিয়া ঘাট এবং ঢাকা মাওয়া সড়কে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে একটি বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ঈদে যাত্রীসেবা নিশ্চিত করতে ৫০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ঘাট এলাকায় সিসি ক্যামেরা, ওয়াচ টাওয়ার বাসানো হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব,আনসার সদস্য, স্কাউট অবস্থান করবে। সিবোর্ট, লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত না করে সেদিকে লক্ষ রাখা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সায়লা ফারজানা জানান, ঈদের ৩দিন আগে থেকে ঘাট এলাকায় ম্যাজিস্টেট থাকবে। ঘাট এলাকায় কোন প্রকার অনিয়ম ঘটলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ