নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জে এক নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করায় ৫ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছে ঐ কন্যার বাবা। পয়েন্ধা(পশ্চিমপাড়া)৬নং পীরগঞ্জ ইউপির মো: আসলামের নাবালিকা ঐ কন্যা মোছা: ইয়াসমিন আকতার তার বয়স মাত্র ১৫ বছর।
এজাহার মতে, ১নং আসামী মো: সলেমান আলী প্রায় মো: ইয়াসমিন আকতারকে উত্যাক্ত করত এর পর স্থানীয় ভাবে আসামীকে এ ব্যাপারে বললে আসামী আর উত্যাক্ত করব না বলে জানায়।
কিন্তু ১৫.০৬.১৭ তারিখে সন্ধ্যা ৭.৩০ মিনিট ১নং আসামী মো: সলেমান আলী, ২নং মো: মুক্তারুল ইসলাম,৩নং মো: দলিউল ইসলাম ওরফে টিহাকু,৪নং মোছা: আশেদা বেগম, ৫নং মোছা: ইতি আকতার সহ অজ্ঞাত আরো ৩/৪ জন আসামী মেয়েটির বাড়িতে এসে তার নাম ধরে ডেকে মাইক্রোবাস যোগে তুলে নিয়ে চলে যাই।
এর পর থেকে ঐ কন্যার পরিবার আত্মহারা হয়ে মেয়েকে খুঁজতে থাকে এবং আসমীদের বাড়িতে গেলে ২,৩,৪,৫নং আসামী বলে ১নং আসামীর সাথে তাকে বিয়ে দিবে এবং মেয়েকে না দিয়ে তাড়িয়ে দেয়।
মেয়ের বাবা জানায়, ৬নং পীরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম এর কাছে আমার মেয়ের কথা জানতে চাইলে তিনি বলে, তোমার মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে ২ বছর অপেক্ষা কর তারপর আসবে। এর পরদিন তার কাছে গেলে তিনি নানা অজুহাত দেই ও একসময় ক্ষেপে যাই।
মেয়ের বাবা আরো অভিযোগ করে বলে এতে চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমের হাত আছে। তাই আসামীদের বিরুদ্ধে পীরগঞ্জ থানায় মামলা করেছি। ইতিমধ্যে ৩নং আসমী মো: দলিউল ইসলাম ওরফে টিহাকুকে আটক করেছে পীরগঞ্জ থানা পুলিশ। যার মামলা নম্বর-১৯৩।
৬নং পীরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মাহাবুব আলমের সাথে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানায়, বিষয়টি আমার নলেজে আছে এবং ছেলে- মেয়ে বতর্মানে ঢাকায় আছে, আমার সাথে ফোনে কথা হয়েছে। তবে দু’পক্ষ আমার কাছে আসলে আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দেব তবে আমি থানায় যাবনা। এ বিষয়ে পীরগঞ্জ থানার ওসি আমিরুজ্জামান কাছে মুটোফোনে যোগাযোগের করা হলে তিনি বলেন, মিটিংয়ে আছি ১ ঘন্টা পর ফোন দেন।
দৈনিক দেশজনতা/এন এইচ